সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
দ্রোহের, সাম্যের ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন বাংলার মানুষের মননশীলতায়, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতি ও সামাজ চিন্তায় উত্তরাধুনিকতার পথিকৃৎ। এর মনস্তাত্ত্বিক ও জ্ঞানতাত্বিক দর্শনযাত্রার অগ্রপথিক ছিলেন দুখু মিয়াখ্যাত, হাবিলদার, কবি কাজী নজরুল ইসলাম। যার কারণে উত্তরাধুনিক সাহিত্যের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো নজরুলের কবিতায় বর্তমান ছিল প্রভূত পরিমাণে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে জেলার একমাত্র প্রতিনিধিত্বশীল কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমি আয়োজিত বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে “চেতনায় নজরুল” শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি লোকগবেষক, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মুহম্মদ নুরুল ইসলাম’র সভাপতিত্বে বক্তারা বলেন, কাজী নজরুল ইসলামের কর্মজীবন ও সৃজনশীল কর্ম জাতির অন্তহীন অনুপ্রেরণার উৎস ছিলেন। দেশের ক্রান্তিলগ্নে কবির ক্ষুরধার অগ্নিঝরা লেখনী শোষিত-নির্যাতিত ও বঞ্চিতদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার করে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে। যা আগামী প্রজন্মের জন্য অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত।
একাডেমির সাধারণ সম্পাদক, অনুবাদক ও কবি রুহুল কাদের বাবুলের পরিচালনায় আলোচনা সভায় অংশ নেন, একাডেমির সহ সভাপতি জেলা শিক্ষা অফিসার মো. নাছির উদ্দিন, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক দিলওয়ার চৌধুরী, কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক, একাডেমির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কথা সাহিত্যিক সোহেল ইকবাল, একাডেমির অফিস ও প্রচার সম্পাদক, সাংবাদিক আজাদ মনসুর, বাচিক শিল্পী, কবি, অ্যাডভোকেট নুর মোহাম্মদ, আবৃত্তিকার, কবি কল্লোল দে চৌধুরী, কবি জোসনা ইকবাল, সাহিত্যানুরাগি হাসিনা আক্তার প্রমূখ।
পরে কবিকে নিবেদিত স্বরচিত কবিতা ও কবি থেকে কবিতা পাঠে অংশ নেন উপস্থিত কবিবৃন্দ।
এর আগে, দেশের অন্যতম ভাষা বিজ্ঞানী, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিশিষ্ট পণ্ডিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামানের মৃত্যুতে একাডেমির কর্মকর্তাবৃন্দ শোক প্রকাশ করেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।