নিজস্ব প্রতিবেদক
টানা বর্ষণে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি, ফটিকছড়ি, আখাউড়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন চট্টগ্রামের ফারাজ করিম চৌধুরী।
গতকাল রাত থেকে তার নিজস্ব ফেসবুক পেইজে এ প্রসঙ্গে কয়েকটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে বন্যা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা জানান তিনি।
এতে তিনি বলেন, “ফেনী, কুমিল্লা সহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা হলেও আলহামদুলিল্লাহ আমাদের ছাত্র সমাজ, জনগণ, সেনাবাহিনী ও সরকারের পক্ষ হতে উদ্ধার কাজ চলমান আছে। সে সব এলাকায় খাদ্য সামগ্রী পাঠানোর কাজ আমরা শুরু করেছি আলহামদুলিল্লাহ্।
খাগড়াছড়ির পানছড়ি, দীঘিনালায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় জরুরি কিছু খাদ্য সামগ্রী পাঠানোর জন্য কাজ করছি। তা ছাড়া চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে অবস্থার অবনতি হওয়ার খবর পেয়েছি এবং সেখানে কাজ করার চেষ্টা করছি।
ফারাজ করিম আরও বলেন, আমার সকল ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন এবং আমি যেন মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি এই দোয়া করবেন।”
শুক্রবার সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম থেকে ফারাজ করিম চৌধুরীর একটি স্বেচ্ছাসেবী টিম খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। তাঁরা বিকাল ৪ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত এসব উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেয়।
এসব ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে শুকনো খাবার, পানি ও জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী।
এ প্রসঙ্গে ফারাজ করিম চৌধুরী জানান “অবশেষে পানছড়িতে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছি। দীর্ঘ সাড়ে ৬ঘন্টা পর পানছড়ির লোগাং বাজার, মধুমঙ্গল, মগ পাড়ায় ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছে আমাদের টিম। এলাকাগুলোতে তীব্র নেটওয়ার্ক সংকটের কারণে আমাদের টিমের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। অবশেষে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা খাগড়াছড়ি সদরের দিকে ত্রাণ নিয়ে রওনা হয়েছে।”
প্রসঙ্গগত, গত এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালী জেলা শহরে জলাবদ্ধতা বন্যার আকার ধারণ করেছে। ডুবে গেছে শহরের প্রায় সবকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, বাসাবাড়িতেও ঢুকছে পানি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। ব্যাহত হচ্ছে জনজীবন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।