সিবিএন ডেস্ক, আদালত প্রতিবেদক ;

সদ্য ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ‘দোসর’ ফয়েজ আহমেদ কে রাষ্ট্রীয় আইনি কর্মকর্তা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) পদে নিয়োগ দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের দুঃসময়ে আইনি সহায়তাকারী বিপ্লবী আইনজীবীরা!

গতকাল ১৩ আগস্ট মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে তাঁকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।

ফয়েজ আহমেদ কে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) পদে নিয়োগ দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের দুঃসময়ে আইনি সহায়তাকারী বিপ্লবী আইনজীবীরা!

কোটা সংস্কার আন্দোলনের কোন মামলায় তিনি কোন শিক্ষার্থীকে সহায়তা করেনি। কোটা আন্দোলনে পুলিশি এবং ছাত্রলীগের হামলার সময় তিনি নীরব ভূমিকা পালন করেছেন! অতীতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন এমপি-মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ পন্থি আইনজীবীদের সাথে তার ‘সখ্যতা’ ছিল। তবে তিনি বিএনপি ‘সমর্থক’ বলে দাবি করেছেন কেউ কেউ।তবে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের সংগঠন “জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম” এর কোন পদে তিনি ছিলেন না।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ফেসবুক এ‌ দেখা যায়, ফয়েজ আহমেদ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট-মাধবপুর সংসদীয় আসনে সাবেক বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর সাথে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির দখলদার সম্পাদক আব্দুন নুর দুলালের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন এবং কেক কেটে জন্মদিন উদ্‌যাপন করেছেন। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন আওয়ামী আইনজীবী হিসাবে অংশগ্রহণ করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোটা সংস্কার আন্দোলনের ‘আইন, আদালত ও মানবাধিকার’ সেলের একজন সমন্বায়ক জানান, “ফয়েজ আহমেদ নামে কোন আইনজীবী কোটা সংস্কার আন্দোলনের মামলা পরিচালনা করেছেন এমন তথ্য আমাদের কাছে নাই। কোন ক্যাটাগরিতে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হয়েছেন তা আমি জানি না।”

বিএনপি সমর্থক আইনজীবী অ্যাডভোকেট পারভেজ হোসাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কড়া

ভাষায় বলেন, “ছাত্র-জনতার খুনি হাসিনার দালাল অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে ডিএজি (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল) সদ্য নিয়োগ পাওয়া ডিএজি ফয়েজ আহমেদ এর নিয়োগ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।

স্বৈরাচার হাসিনার কোন দালালকে ছাত্র-জনতা অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে মেনে নিবে না। এমন কাউকে ঐ অফিসে পেলে তাকে পিটিয়ে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকেই বের করা হবে। সাধু সাবধান….”

এই বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফয়েজ আহমেদ কে মোবাইলে অনলাইনে এবং অফলাইনে কল দিলেও পাওয়া যায়নি।মোবাইলে এসএমএস দিলেও কোন রিপ্লাই দেননি। অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে গিয়ে দেখা যায়, তিনি অফিসে নাই।