নিজস্ব প্রতিবেদক:
শহরের টেকপাড়ায় অসহায় বৃদ্ধা নারীর জমি দখলের উদ্দেশ্যে বসতবাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এসময় শ্লীলতাহানি করা হয় নারীদের। গত বুধবার (৭ আগস্ট) বিকাল ৪ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, লিংকরোড মুহুরী পাড়া এলাকার নুরুল মোস্তফার ছেলে সাইদুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে টেকপাড়া মসজিদ রোড এলাকার অসহায় বৃদ্ধা নারী নুরুন্নাহারের জমি দখলে পাঁয়তারা করে আসছে। এ নিয়ে দখলবাজদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও করেন নুরুন্নাহার। কিন্তু দেশের উদ্বুত পরিস্থিতির সুযোগে গত বুধবার বিকালে নুরুল মোস্তফার ছেলে সাইদুর রহমান, মিজানুর রহমান, জিয়াউর রহমান, আবদুর রহমান ও ইয়াবা সম্রাট দিদার বলীর ভাইসহ ৫০—৬০ সন্ত্রাসী দা, কুড়াল, কিরিচ, লোহার রড, মরিচের গুড়া, এসিড ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে টেকপাড়ায় অসহায় নুরুন্নাহারের বসতবাড়িতে নারকীয় তাণ্ডব চালায়। এসময় বাড়ির মূল্যবান আসবাবপত্রসহ সবকিছু ভেঙ্গে চুরমার করা হয়। আলমারি থেকে লুট করা হয় নগদ ৬ লক্ষ টাকা ও প্রায় সাড়ে ৮ ভরি স্বর্ণালংকার। হামলার সময় বাড়িতে ছিলেন নুরুন্নাহারের পুত্রবধূ রেহেনা বেগম। তিনি হামলাকারীদের বসতবাড়ি ভাংচুরে বাঁধা দিলে তাকেও টেনে হিঁচড়ে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়। প্রায় ২০—২৫ জন সন্ত্রাসী এই নারীকে শরীরের কাপড় চোপড় ছিঁড়ে শ্লীলতাহানী করে। তার আর্তচিৎকারে অসহায় নুরুন্নাহার এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করা হয়। পরে তিনি রাস্তায় এসে মাটিতে লুটে পড়লে স্থানীয়রা এসে উদ্ধার করে। নির্মম এই ঘটনা দেখে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে অসহায় নুরুন্নাহারের ছেলে শওকত আলম বলেন, বাড়িতে আমরা কেউ ছিলাম না। এই সুযোগে তারা আমার বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। আলমারি ভেঙ্গে তারা নগদ ৬ লক্ষ টাকা ও সাড়ে ৮ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। বর্তমানে আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি।

তিনি আরও বলেন, সাইদুর রহমান বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে এই নারকীয় তাণ্ডব চালায়। কিন্তু সাবেক সাংসদ লুৎফুর রহমান কাজল বলেছেন, দলীয় লোক জড়িত থাকলে মামলায় তাদের নাম আগে দিতে। তাই আমরা এই সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।