মোটরসাইকেলের সঙ্গে ইঞ্জিনচালিত করিমনের সংঘর্ষে আহত আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে একে একে আরোহী তিন বন্ধুই প্রাণ হারাল।
গত সোমবার (৬ নভেম্বর) পাবনার ঈশ্বরদীতে এই ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার দিন স্কুলছাত্র মিতুল হোসেন এবং পরদিন সিয়াম সরদারের মৃত্যুর পর বৃহস্পতিবার মারা যায় বিশাল।
জানা যায়, গত সোমবার সকালে এক মোটরসাইকেলে পরীক্ষা দিতে আসছিল ঈশ্বরদীর সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের দশম শ্রেণির তিন পরীক্ষার্থী মিতুল, সিয়াম ও বিশাল। পথে ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের বহরপুর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় মিতুল।
একইদিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিয়ামের মৃত্যু হয়। তিন বন্ধুর মধ্যে আহত অন্যজন বিশাল হোসেন রামেকের আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে বুধবার রাতে মারা যায়।
নিহত ৩ বন্ধুর মিতুল আথাইল শিমুল গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। সিয়াম দাশুড়িয়া ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামের শিহাব সরদারের ছেলে। একই ইউনিয়নের খয়েরবাড়িয়া গ্রামের বাচ্চু মণ্ডলের ছেলে বিশাল হোসেন।
সরকারি ভোকেশনাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের সুপারিনটেনডেন্ট রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তিনজনই আমার ছাত্র। ঘটনার দিন পরীক্ষা দিতে তিন বন্ধু একটি মোটরসাইকেলে আসছিল।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।