ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধের তিন সপ্তাহের মাথায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযানে নেমেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গতকাল শনিবার তারা এই অভিযান শুরু করেছে। খবর রয়টার্সের।

শনিবার(২৮ অক্টোবর) গভীর রাতে তেল আবিবে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, এটি যুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায়। আমাদের লক্ষ্য স্পষ্ট—হামাসের শাসন ও সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করে জিম্মিদের ঘরে ফিরিয়ে আনা।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কেবল প্রাথমিক পর্যায়ে আছি। আমরা মাটির ওপরে ও মাটির নিচে শত্রুদের বিনাশ করব।’ একই সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলি স্থল অভিযান ‘দীর্ঘ ও কঠিন’ হবে বলেও ইসরায়েলি সেনাদের সতর্ক করেছেন নেতানিয়াহু।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায়। সে দিনই হামলা চালিয়ে ১৪০০ জনের বেশি ইসরায়েলিকে হত্যা এবং দুই শতাধিক ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় জিম্মি করে রাখেন সংগঠনটি।

এদিকে হামাসের এই নজিরবিহীন হামলার জবাবে একই দিনে ইসরায়েলও বোমা হামলা শুরু করে। ইসরায়েলি নির্বিচারে বোমা হামলায় গাজায় ৮ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। বোমা হামলা জোরদারের পাশাপাশি গাজায় বড় ধরনের স্থল অভিযান চালাতে বেশ কয়েকদিন সীমান্তে হাজার হাজার সেনা ও রসদ জড়ো করে ইসরায়েল। গত দুই-তিন দিন যুদ্ধট্যাংক নিয়ে ইসরায়েলি পদাতিক বাহিনী গাজা উপত্যকায় সীমিতভাবে অভিযানও পরিচালনা করে। তবে এবার গাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে স্থল অভিযান শুরু করল ইসরায়েল।