সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ইরানের রেভ্যুলিউশনারি গার্ডের দুটি গুদামে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার(২৭ অক্টোবর) ইরাকের সীমান্তের আবু কামাল শহরে স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে চার টার দিকে এই হামলা চালানো হয়। এই হামলায় অংশ নেয় যুক্তরাষ্ট্রের এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান। এতে কেউ হতাহত হয়েছে কিনা তা এখনো জানা যায়নি।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, ইরাক ও সিরিয়ায় থাকা মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর চালানো সাম্প্রতিক হামলার জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মার্কিন বিমান হামলাগুলো “ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান সংঘাত থেকে বিচ্ছিন্ন এবং ভিন্ন।”

এদিকে ইরান এই হামলা নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোন মন্তব্য করেনি।

এক বিবৃতিতে মি. অস্টিন বলেন, “গত ১৭ই অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক সদস্যদের লক্ষ্য করে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর চালানো চলমান ও ব্যর্থ হামলার জবাবে এই হামলাগুলো চালানো হয়েছে।”

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর থেকে ইরাকে ১২ বার এবং সিরিয়ায় চার বার হামলা চালিয়েছে মার্কিন ও যৌথবাহিনীর সদস্যরা।

পেন্টাগনের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ২১ জন সেনা সদস্য সামান্য আহত হয়েছেন।
এদিকে ঐ এলাকায় হামলার জন্য আমেরিকার কর্মকর্তারা ইরানের ছায়া গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করেছে। গাজার নিয়ন্ত্রণে থাকা হামাস এবং লেবাননে পরিচালিত হেজবুল্লাহকে অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করে আসছে ইরান।

মি. অস্টিন বলেন, “মার্কিন সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ইরান সমর্থিত এসব হামলা অগ্রহণযোগ্য এবং এগুলো অবশ্যই বন্ধ করা উচিত।”

“যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইরানের ছায়া গোষ্ঠীগুলোর এ ধরনের হামলা চলমান থাকলে, আমাদের জনগণের নিরাপত্তায় আমরা আরো পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবো না।”

গত বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরআবদোল্লাহিয়ান হুশিয়ার করে বলেন, গাজায় সহিংসতা চলতে থাকলে ওই এলাকায় যে আগুন জ্বলছে তার থাবা থেকে মুক্ত থাকতে পারবে না ওয়াশিংটন।

চলতি সপ্তাহগুলোতে ওই এলাকায় যুদ্ধ জাহাজ ও যুদ্ধ বিমান পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আরো ৯০০ সেনাকে ওই এলাকায় পাঠানো হচ্ছে।

এর আগেও মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন ঘাটিগুলো হামলার মুখে পড়েছে। এরই জবাবে হামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্রও।

গত মার্চে একটি ড্রোন হামলায় এক মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার পর সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।