নোয়াখালীতে সাইকেল বিক্রির পাওনা টাকা চাওয়ায় মারূফ হাসান রাকিব (১২) নামে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে একই শ্রেণির অপর এক বন্ধু আতিকুর রহমান রাকিবের (১৩) বিরুদ্ধে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে জেলা শহরের জনতা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে নোয়াখালীর সূবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হালিম মাস্টারের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহত মারূফ চরক্লার্ক গ্রামের দুবাই প্রবাসী মো. রফিক উল্যাহর ছেলে। অন্যদিকে অভিযুক্ত আতিকুর রহমান একই গ্রামের হোমিও চিকিৎসক মো. শাহ আলমের ছেলে। তারা দুজন বন্ধু এবং স্থানীয় বাংলাবাজার দাখিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।

তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জেলা শহরের জনতা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তার অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে।

আহত মারূফের চাচা মো. আহসান উল্যাহ বলেন, আতিকুর রহমান মারূফের কাছ থেকে আট হাজার টাকায় একটি সাইকেল কেনে। কিন্তু দীর্ঘদিন টাকা না দেওয়ায় মারূফ তাকে টাকার জন্য চাপ দেয়। সোমবার বিকেলে মারুফকে টাকা দেওয়ার কথা বলে হালিম মাস্টারের বাড়ি পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা করে। এতে তার থুতনি, বুকে ও পেটে মারাত্মক জখম হয়।

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত আতিকুর রহমান রাকিব পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

স্থানীয় চরক্লার্ক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবুল বাসার বলেন, মারূফের পেট কেটে ভুঁড়ি বের হয়ে গেছে। আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাৎক্ষণিক অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত দেন।