আব্দুস সালাম, টেকনাফ:

টেকনাফ-সেন্টমার্টিনদ্বীপ নৌপথে চলাচলকারী কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন নামের একটি পর্যটকবাহী জাহাজ ইঞ্জিন বিকল হয়ে সোয়া এক ঘণ্টা বঙ্গোপসাগরে ভাসছিল। এতে জাহাজে থাকা সাড়ে তিন শতাধিক পর্যটকের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

রবিবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী নাইক্ষংদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে একটি ইঞ্জিন সচল করে সেন্টমার্টিনের দিকে এগিয়ে যায় জাহাজটি।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট থেকে পর্যটকবাহী জাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দেয়। তবে জাহাজটি দুপুর ১২টার দিকে সেন্ট মার্টিনে পৌঁছানোর কথা থাকলেও দুপুর পর্যন্ত সাগরে ছিল।

জাহাজের ইঞ্জিন বিকলের তথ্য নিশ্চিত করেন কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনের ব্যবস্থাপক (হিসাব) মো. শাহ আলম। তিনি বলেন, ‘যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। একটি ইঞ্জিন চালু হয়েছে। বর্তমানে সেন্টমার্টিনের দিকে রওনা হয়েছে জাহাজটি। নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে কিছু দেরিতে জাহাজটি সেন্ট মার্টিন জেটি ঘাটে পৌঁছাবে বলে আশা করছি।’

জাহাজের যাত্রী গাজীপুর থেকে আসা পর্যটক নুরুল আলম ও টেকনাফের বাসিন্দা বশির আহমদ মোবাইলফোনে জানান,সকালে জাহাজটি টেকনাফ থেকে ছেড়ে আসার পর বেলা ১১টার দিকে মিয়ানমারের পার্শ্ববর্তী নাইক্ষংদিয়া নামক এলাকায় পৌঁছালে জাহাজের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। তখন সাগরের মাঝখানে জাহাজটি ভাসতে থাকে।

এ সময় জাহাজে থাকা নারী-পুরুষদের পাশাপাশি শিশুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরে দুপুরের দিকে জাহাজের একটি ইঞ্জিন সচল হলে এটি ধীরে ধীরে সেন্টমার্টিনের দিকে রওনা দেয়। বেলা একটা পর্যন্ত জাহাজটি সাগরে ছিল বলে জানান তাঁরা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্র জানায়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে এমভি বার আউলিয়া নামক জাহাজ পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয় এই নৌপথে। এরপর কেয়ারি সিন্দাবাদ ও কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন প্রতিদিন পর্যটক বহন করে আসছে। আরও কয়েকটি জাহাজ এ নৌপথে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।