বান্দরবান প্রতিনিধি:

বান্দরবানের রুমা উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তে সেনাবাহিনীর একটি টহল দলের ওপর কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) অতর্কিত হামলায় দুই সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দুই সেনা কর্মকর্তা।

নিহতরা হলেন- ২৮ বীরের সৈনিক আলতাব আহমেদ ও মোহাম্মদ তৌহিদ। গুলিবিদ্ধরা হলেন- মেজর মনোয়ার ও ক্যাপ্টেন ইশতিয়াক আহমেদ।

মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন রুমা উপজেলার রেমাক্রি প্রাংসা ইউনিয়নের দুর্গম জারুলছড়ি পাহাড়ে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওই এলাকায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তিনটি পাড়ার লোকজন আতঙ্কে নিরাপদ জায়গায় সরে গেছে। বুধবার (১৭ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইসপিআর)।

আইসপিআর সুত্রে জানা যায়, সকাল থেকে সীমান্ত সংলগ্ন রুমা উপজেলার রেমাক্রি প্রাংসা ইউনিয়নের লংবক্র পাহাড়ে সংঘর্ষ চলছে। নিরাপত্তা বাহিনী কেএনএফের আস্থানা গুলোতে ব্যাপক বোমা বর্ষণ করছে। মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় কেএনএফের একটি আস্তানায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে অভিযান চালালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা কেএনএফের সশস্ত্র সদস্যরা অতর্কিত হামলা চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর রুমা জোনের-২৮ বীরের সৈনিক আলতাব আহমেদ ও মোহাম্মদ তৌহিদ নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন-ক্যাপ্টেন ইশতিয়াক আহমেদ ও মেজর মনোয়ার ।

সবাইকে হেলিকপ্টারে করে সেখান থেকে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়। আহতরা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে, ঘটনার পর ওই এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে।

গত ১২ মার্চ রোয়াংছড়ির দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে সেনাবাহিনীর টহল দলের ওপর কুকি-চিন ন্যাশনাল আমির অতর্কিত গুলিবর্ষণে সেনাবাহিনীর মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিন নিহত হন। আর ওই ঘটনায় আহত হয়েছিলেন আরও দুই সেনা সদস্য।

এদিকে, সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে গত দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে বান্দরবানের রুমা রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় দেশি-বিদেশি পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে।