রামু প্রতিনিধি:
রামুতে জমি নিয়ে নিয়ে বিরোধের জেরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসত বাড়িতে রক্তক্ষয়ী হামলা, লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৩ জন আহত হয়েছেন। বৃহষ্পতিবার, ২০ এপ্রিল রাত দশটার দিকে উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের তেচ্ছিপুল উত্তর ফারিকুল গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- মৃত মোকতার আহমদের ছেলে ব্যবসায়ি আকতার আলম, মোর্শেদ আলম ও মোর্শেদ আলমের স্ত্রী আয়েশা আকতার। আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় আহত আকতার আলমের বড় ভাই ছৈয়দ আলম জানান- তাদের বাড়ির পাশর্^বর্তী সবার চলাচলের উন্মুক্ত সড়কটি সম্প্রতি টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেন একই এলাকার হাবিব উল্লাহ ও তার ছেলে রিদুয়ান, ছৈয়দ নুর, ছৈয়দ হোছনের ছেলে রুবেল একটি সংঘবদ্ধ চক্র। বৃহষ্পতিবার বিকালে এ পথ দিয়ে পাড়ার শিশুরা পাশর্^বর্তী বিলে খেলতে যান। এরই জের ধরে জবর-দখলকারি হাবিব উল্লাহ ও তার ছেলে রিদুয়ান, ছৈয়দ নুর ও ছৈয়দ হোছনের ছেলে রুবেলের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র মসজিদের সামনে গিয়ে আকতার আলমকে রড দিয়ে মারধর করে।
পরে হামলাকারিরা তার দোকানে গিয়ে ভাংচুর করে আবারও মারধর করে। একই সময় মোর্শেদ আলমের বাড়িতে গিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে মোর্শেদ আলম ও তার স্ত্রীকে মারধর করে। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় আকতার আলম, মোর্শেদ আলম ও আয়েশা আকতারকে প্রথমে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে রামু থানার এএসআই জাহাঙ্গীর ঘটনাস্থলে যান।
এলাকাবাসী জানিয়েছে- হাবিব উল্লাহ একজন চিহ্নিত ভ‚মিদস্য ও মামলাবাজ। তিনি তার ছেলেদের লেলিয়ে দিয়ে এ ঘটনা সংগঠিত করেছেন। তার কারনেই পুরো এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত হাবিব উল্লাহ বলেন- চলাচলের পথটি তার নিজস্ব। যা ইতিপূর্বে থানায় বিচার হয়েছে। কিন্তু তার ভাইয়ের ছেলে আকতার, মোর্শেদ পথটি দিয়ে জোরপূর্বক চলাচল করায় এ ঘটনা ঘটেছে। এতে তার করার কিছুই ছিলো না।
হামলার শিকার মোর্শেদ জানান- এ ঘটনায় রামু থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন। তিনি সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন।