আব্দুস সালাম,টেকনাফ (কক্সবাজার):
কক্সবাজার টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে চলাচলকারী এমভি পারিজাত নামে জাহাজটি ২৪০ পর্যটক নিয়ে ফেরার পথে ধমকা হওয়ার কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগরে উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে জাহাজটি হেলে-ধুলে ধুলতে থাকলে পর্যটকদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়ে পড়ে। এসময় শিশু, নারী ও পুরুষ পর্যটকেরা বমি করে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সেন্টমার্টিনদ্বীপ জেটিঘাট থেকে এমভি পারিজাত জাহাজটি টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এর আগে মঙ্গলবার সকালে জাহাজটিতে করে টেকনাফ দমদমিয়া বিআইডব্লিউটিএ এর জাহাজ ঘাট থেকে প্রায় দুইশতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিনদ্বীপ ভ্রমনে গিয়েছিলেন। এরমধ্যে সোমবার বেড়াতে যাওয়া অর্ধশতাধিক পর্যটক নিয়ে মঙ্গলবার জাহাজটি সেন্টমার্টিনদ্বীপ জেটিঘাট থেকে ছেড়ে আসার ১৫ মিনিটের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে ঢেউয়ের কবলে পড়লে পর্যটকেরা কান্নাকাটি ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এসময় অনেকেই বমি করার পাশাপাশি লাইভ জ্যাকেট পড়ার জন্য ছোটাছুটি করেন।
ওই জাহাজে থাকা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীরা জানান, জাহাজটিতে প্রায় আড়াই শতাধিক পর্যটক ছিল। সেন্টমার্টিনদ্বীপ জেটি থেকে ছেড়ে আসার ১৫ মিনিটের মধ্যেই বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়লেই জাহাজটি ধুলতে থাকে। এ সময় জাহাজে থাকা শিশু, নারী ও পুরুষেরা
পর্যটকেরা অনেকে কান্নাকাটি ও বমি করেন।
তারা আরও জানান, এই জাহাজে আমাদের ৩৭জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছিলেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তবে আল্লাহর বড় রহমত বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে পর্যটকেরা রক্ষা পেয়েছেন। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে জাহাজটি টেকনাফের দমদমিয়া ঘাটে পৌঁছালে পর্যটকদের মাঝে স্বস্তি নেমে আসে। এরপর পর্যটকরা স্ব-স্ব উদ্যোগে নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
এমভি পারিজাত টেকনাফের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সোহেলের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় ফলে তার কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

টেকনাফ টুরিস্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম জানান, ধমকা হওয়ার কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে পড়লে জাহাজটি হেলে-দুলে দুলতে থাকেন। এতে করে পর্যটকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তবে নিরাপদে সকল পর্যটক ফিরে এসেছেন।