এম.মনছুর আলম, চকরিয়া :

শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে দক্ষিণ চট্টগ্রামের অন্যতম শ্রেষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচ্য কক্সবাজারের চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ। ১৯৯০সালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে সুদীর্ঘ ৩২ বছর ধরে শিক্ষা, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়ায় অভাবনীয় সাফল্যে অর্জনের মধ্যদিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে কোরক বিদ্যাপীঠ। চলতি বছরেও এসএসসি পরীক্ষায় জেলায় ২১৫ জন জিপিএ-৫ নিয়ে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করে শ্রেষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্টানের সাক্ষর রেখেছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানাগেছে, সারাদেশের ন্যায় ২৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড থেকে প্রকাশিত এসএসসি’র ফলাফলে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের ৪৬৫ ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেন। অতীতের ন্যায় চলতি বছরেও সাফল্যের ধারাবাহিকতায় চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ থেকে ইর্ষণীয় ফলাফলে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২১৫জন শিক্ষার্থী। এছাড়াও এ গ্রেড পেয়েছে ১৮৯ জন, এ মাইনেস ও বি গ্রেড পেয়েছে ৫৭ জন এবং সি গ্রেড ২ জন, এফ গ্রেড পেয়েছে ২জন শিক্ষার্থী। অসুস্থতার কারণে ২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারেনি। তবে ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের পাশের হার ৯৯.৫৭। বিদ্যালয়টি পরীক্ষার চমৎকার ফলাফলে আবারও উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে।

চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক মো.নুরুল আখের বলেন, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড থেকে প্রকাশিত ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় কোরক বিদ্যাপীঠ থেকে ৪৬৫জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে সকলে পাশ করেছে। তারমধ্যে ২১৫জন (এপ্লাস) পেয়ে অভাবনীয় সাফল্যে অর্জন করে আবারও উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে। এ কৃতিত্বপূর্ণ অবদানে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, পরিচালনা পর্ষদ ও অভিভাবক মহলের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, বিদ্যাপীঠের সম্মানিত শিক্ষক মণ্ডলীর সার্বিক প্রচেষ্টা এবং ক্লাস নির্ভর লেখাপড়ার মান্নোয়নের কারণেই প্রতি বছর এসএসসি, জেএসসি ও পিএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাশ করে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করে আসছে। প্রতিবছরের মতো এবছরও শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষায় ২১৫ জন ছাত্র-ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়ে প্রতিষ্ঠানের অগ্রযাত্রা ধরে রেখেছে।

তিনি বলেন, কোরক বিদ্যাপীঠের সাফল্য চলমান রাখতে আমি সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবক মহলের কাছে সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি। আশা করি সকলেই অতীতের মতো বিদ্যালয়ের মান্নোয়নে সচেষ্ট হবেন।