এম.এ আজিজ রাসেল :
পর্যটন নগরী কক্সবাজারে শেষ হয়েছে দুই দিনব্যাপী দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব। শনিবার (২৯ অক্টোবর) দানোৎসবের সমাপনী দিনে সকাল ৮টায় শহরের কেন্দ্রীয় মাহাসিংদোগ্রী বৌদ্ধ বিহার থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি প্রধান প্রধান সড়ক পদক্ষিণ করে পুনরায় বৌদ্ধ বিহারে এসে শেষ হয়।
এরপর পূজনীয় ভিক্ষু—সংঘের পিন্ডচারণ, পিন্ডদান, পূর্ণার্থীদের আপ্যায়ন, বিকালে দানোত্তম কঠিন চীবর দানানুষ্ঠান, সদ্ধর্ম দেশনা ও উৎসর্গের মধ্য দিয়ে শেষ হয় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সবচেয়ে পবিত্র এই অনুষ্ঠান।
এর আগে গত শুক্রবার বিকালে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, ধর্মীয় এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে পবিত্র এই দানোৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। রাত ৮টায় ধর্মদেশনার পর অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
দ্বিতীয় বারের মতো কঠিন চীবর দানোৎসবের আয়োজন করে কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন রাখাইন শিক্ষার্থীরা।
আয়োজককারী এ ছেন নু, খিন ছিন, সেরি, বুবু, নিবু, উ হ্লা য়িন, মায়েনু, মোসে, এ সান, খিন এ ওয়ান ও আবু জানান, “বৌদ্ধ ভিক্ষুদের টানা তিন মাস বর্ষাবাসের পর প্রবারণা পূর্ণিমা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মাসব্যাপী কঠিন চীবরদান উৎসব। এসময় দায়ক—দায়িকারা বৌদ্ধ বিহারে ভিক্ষুদের উদ্দেশ্যে সংঘ দান, অষ্ট পরিস্কার, বুদ্ধ মূর্তি, কল্পতরু, হাজার প্রদীপসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক সামগ্রী দান করে। এটি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সবচেয়ে পবিত্র অনুষ্ঠান। ভিক্ষুদের পরিধেয় চীবরের (কাপড়) অভাব মোচন এবং বৌদ্ধ নর—নারীদের মধ্যে দানের চেতনা বাড়ানোর জন্য ভগবান বুদ্ধ কঠিন চীবর দান প্রবর্তন করেন। এ দানের প্রভাবে ধন সম্পদ লাভ করা যায়।”
পর্যায়ক্রমে জেলার অর্ধশতাধিক বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব চলবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।