প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

জাতীয় পার্টির অগণতান্ত্রিক ধারা ২০’র ১ এর ক ব্যবহারে অবৈধ পদধারী মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পার্টির আসন্ন জাতীয় কাউন্সিলের যুগ্ম আহবায়ক ও এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশীদ বলেছেন, কার অনুগ্রহে আপনার গাড়িতে পতাকা উড়ে সেটা আগে স্মরণ করেন। বেগম রওশন এরশাদের গাড়ির পতাকা নামানোর আপনি কে? জনাব চুন্নু আপনি রাজনৈতিক শিষ্টাচার বজায় রেখে কথা বলুন। চিঠির বিষয়ে স্পিকারের জবাব না পাওয়া প্রসঙ্গে কথা বলে আপনি সংসদীয় রীতিনীতি লঙ্ঘন করেছেন।

শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারা ক্লাবে ঢাকা মহানগর জাপার নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় কাজী মামুন বলেন, ভুলে যান কেনো আপনি বিএনপির টিকেট পেতে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই তথ্য কি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে নেই? মহাজোটে আপনার নমিনেশন নিতে রওশন এরশাদকে কতটা বেগ পেতে হয়েছে, তা ভুলে যান কেনো? নিজে যার বদৌলতে গাড়িতে পতাকা উড়াচ্ছেন, তাকেই পতাকা নামাতে বলেন, এতোটা নির্লজ্জ আচরণ করেন কার ইঙ্গিতে? কাদের ইশারা-ইঙ্গিতে এসব করছেন, তা আমরা জানি। কত টাকার লেনদেন হয়েছে, সেটাও জানা আছে, গোয়েন্দা তথ্যও রয়েছে।

কাজী মামুনুর রশীদ বলেন, যাকে নিয়ে কথা বলছেন তিনি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সহধর্মিনী, পার্টির সাবেক সিনিয়র কো চেয়ারম্যান ও দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। তার সম্মেলন ডাকার এখতিয়ার আছে। পল্লীবন্ধুর অবর্তমানে পার্টি যখন এলোমেলো তখন অভিভাবক হিসেবে বেগম রওশন এরশাদ অবশ্যই সম্মেলন ডাকার এখতিয়ার রাখেন।

তিনি বলেন, এটা জাতীয় পার্টির সম্মেলন নয়, এসব বলার আপনি (চুন্নু) কে? এটাই জাতীয় পার্টির সম্মেলন। আপনি নিজেই তো অবৈধ ধারায় মহাসচিব। অবৈধ মহাসচিবের(চুন্নু) বক্তব্য উন্মাদনার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছু নয় বলে মনে করেন পার্টির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক কাজী মামুনুর রশীদ।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মিলন, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, নুরুল ইসলাম নুরু, শাহ আলম তালুকদার, মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, মিজানুর রহমান দুলাল, নজরুল ইসলাম ও শেখ রুনাসহ আরো অনেকে।