হ্যাপী করিম, মহেশখালী :
কালারমারছড়া উত্তর নলবিলায় বিয়ের দাবীতে ৮দিন ধরে কাউসার (২৫) নামে এক যুবকের বাড়িতে এক সন্তানের জননী প্রেমিকার অনশনের খবর পাওয়া গেছে।

গত ২৫ শে জুলাই রবিবার থেকে মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নে প্রেমিক কাউছারের বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেন ওই নারী। প্রেমিকার উপস্থিতি’টের পেয়ে বসতঘর গা-ঢাকা দিয়েছে প্রেমিক কাউছার’সহ তার পরিবারের সদস্যরা।

প্রেমিক কাউছার মহেশখালী উপজেলার মহেশখালী থানার কালারমারছড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের শফিউল আলম ছেলে। প্রেমিকা নারী কালারমারছড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ঝাপুয়া বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তার আগে বিয়ে হয়েছিল এবং স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়। ওই পক্ষে তার ৫ বছর বয়সী এক সন্তান রয়েছে।

ভুক্তভোগী নারী জানান, দুই বছর আগে কাউছার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। প্রথমে বন্ধুত্ব হলেও কিছুদিন পরে সম্পর্ক প্রেমে গড়ায়। প্রেমের সূত্র ধরে প্রেমিক সিএনজি চালক কাউছার তার এলাকার বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন। স সময় তারা স্বামী-স্ত্রীর মতো একই রুমে রাত্রী যাপন করতেন। প্রেমিক কাউছার চট্টগ্রামের তার বাসায় গিয়ে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন।

এমনিভাবে কেটে যায় দুই বছর। মাঝে মধ্যে প্রেমিক কাউছার মা শাকের বেগমের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে কথা হতো। কাউছার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। গত মাসে মোবাইল ফোনে কাউছারের সঙ্গে ঝগড়া বাঁধলে তাদের সম্পর্কের কিছুটা অবনতি হয়। ঝগড়ার জের ধরে প্রেমিক কাউছার তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের প্রেম জীবনের কলহ শুরু হয়। এর মধ্যেও তাদের দুজনের নিয়মিত যোগাযোগ হতো।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, গত কয়েকদিন আগে প্রেমিক কাউছার নিজে বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিক কাউছার বাড়িতে অবস্থান নিতে বলে, গ্রামবাসীরা তাকে স্থানীয় ইউপি মহিলা সদস্য ইসমত আরা বাড়িতে তার জিম্মায় রাখেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কাসেম জানান, ওই নারী বিয়ের দাবি নিয়ে যুবক কাউছার বাড়িতে অবস্থান নিলে কাউছারের পরিবারের সদস্যরা ঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যান। পরে গ্রামবাসী নারীর নিরাপত্তার জন্য তার জিম্মায় দেন। বিয়ের আশ্বাসে ৮দিন ওই নারী তার হেফাজতে আছেন।

ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ জানান, এ বিষয়টি আমার জানা নাই।

মহেশখালী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী জানান, ওই নারীর অবস্থান নেওয়ার খবর পায়েছি, বিষয়টি এএসআই আনিস তদন্তদিন রয়েছে, মেয়ে অভিযোগ করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।