থার্টিফার্স্ট নাইটের সন্ধ্যা থেকেই রাজধানীজুড়ে ফুটছিল আতশবাজি। ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২ বাজার সঙ্গে সঙ্গেই আতশবাজির মুহূর্মুহু বিকট শব্দে কেঁপে উঠে গোটা রাজধানী। আতশবাজির সেই তীব্র শব্দে ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে উঠছিল চার মাসের শিশু উমায়েরও। হার্টে ছিদ্র নিয়ে জন্মগ্রহণ করা শিশুটির তখন থেকেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। সারা রাত কাটে এভাবেই শিশুটির । ছেলের এই পরিস্থিতি নিয়ে ৩১শে ডিসেম্বর রাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেন পিতা ইউসুফ রায়হান। আতশবাজির ফোটানোর সমালোচনা করে তিনি লিখেন, ‘কী বিকট শব্দ! আমার ছোট বাচ্চাটি এমনিতে হার্টের রোগী। আতশবাজির প্রচণ্ড শব্দে বাচ্চাটি আমার ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে ওঠে।
খুব ভয় পাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। খুব আতঙ্কে রাত পার করছি।’
শ্বাসকষ্ট না কমায় ১লা জানুয়ারি সকালে ছেলে হাসপাতালে ভর্তি করেন ইউসুফ। হাসপাতালে ভর্তির তিন ঘণ্টার মধ্যে মারা যায় শিশুটি।
জানা গেছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিংয়ে একটি দোকানে মোবাইল যন্ত্রাংশের ব্যবসা করেন। তিনি বিয়ে করেন ছয় বছর আগে। তাঁর পাঁচ বছর বয়সী আরেকটি ছেলে রয়েছে।
গত মাসের প্রথম দিকে নিউমোনিয়া হয়েছিল উমায়েরের। গত ১০ই ডিসেম্বর তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে নেওয়া হয় তাকে। চারদিন পর সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরে। এর সপ্তাহখানেক পর আবার তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে ওই দিন চিকিৎসক ব্যস্ত থাকায় তাকে সেদিন আর নেওয়া হয়নি।
ইউসুফ রায়হান জানান, বর্ষবরণের রাতে আতশবাজির বিকট শব্দে ভয়ে ছেলেটা বারবার কেঁপে উঠছিল। সারা রাত ঘুমাতে পারেনি। সকাল থেকে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। সকালে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ছেলে।- মানবজমিন
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।