মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত কক্সবাজার জেলা পরিষদের হিসাবরক্ষক মোহাম্মদ আবদুল মান্নান এর বাম হাতে পূনঃ অপারেশন ঢাকার বসুন্ধরাস্থ এভারকেয়ার হাসপাতাল (সাবেক এ্যাপলো হাসপাতাল) এ সম্পন্ন হয়েছে। রোববার ২ জানুয়ারি বেলা ১ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত দীর্ঘ ৪ ঘন্টা এভারকেয়ার হাসপাতালের সিনিয়র অর্থোপেডিক কনসালটেন্ট, দেশের বিশিষ্ট অর্থোপোডিক ও ট্রমা বিশেষজ্ঞ সার্জন প্রফেসর ডা. কামরুল আলম সালেহ এর নেতৃত্বে গঠিত সমন্বিত একটি অস্ত্রোপচার টিম স্পর্শকাতর এ অপারেশন সম্পন করেন।

কক্সবাজার জেলা পরিষদের হিসাবরক্ষক মোঃ আবদুল মান্নান গত ১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টার দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরতর আহত হন। এদিন কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঝিলংজা হাজীপাড়া খাদ্য গুদামের নিকটে সিএনজি’র সাথে একটি বাসের প্রচন্ড ধাক্কায় এ দুর্ঘটনায় ঘটে। দুর্ঘটনায় মোঃ আবদুল মান্নানের শরীরের বাম বাহুর নীচের অংশ, বাম কুনই এর উপরের অংশের হাড় ভেঙ্গে দ্বিখন্ডিত হয়ে যায়। তাঁকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে প্রথমে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে, পরে চকরিয়ার ডুলাহাজারা মেমোরিয়াল খৃষ্টান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ডুলাহাজারা মেমোরিয়াল খৃষ্টান হাসপাতালে গত ১৩ ডিসেম্বর ডা. স্টিফেন কেলী আহত আবদুল মান্নানের বাম হাতে অপারেশন করেন। কিন্তু অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ডুলাহাজারা মেমোরিয়াল খৃষ্টান হাসপাতালের এই অপারেশনে বিভিন্ন মারাত্মক ত্রুটি ছিলো। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, অসর্থকতা, উদাসীনতার কারণে মান্ধাতার আমলের ‘নেইল’ পদ্ধতিতে রড দিয়ে মোঃ আবদুল মান্নানের হাতে ভুল অপারেশন করা হয়। যা মোটেও সঠিক হয়নি। ফলে মোঃ আবদুল মান্নানের ভাঙ্গা হাত আরো বেশী ক্ষতিগ্রস্ত, জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায় এবং রোববার পূনঃ অপারেশন করতে হয়।

বর্তমানে কক্সবাজার শহরের এবিসি ঘোনাস্থ চেয়ারম্যান ঘাটা’য় বসবাসরত জেলা পরিষদের হিসাবরক্ষক
মোঃ আবদুল মান্নান রামু উপজেলার কাউয়ারখোপের মরহুম আলহাজ্ব মনির আহমদ ও মরহুমা হালিমা খাতুনের জ্যেষ্ঠ সন্তান এবং কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার তসলিমুন্নেছা ও কবি কামাল হোসেন’র বড় ভাই।

এদিকে, মোঃ আবদুল মান্নানের পূর্ণ সুস্থতার জন্য তাঁর সহধর্মিণী দিলরুবা ওসমানী মহান আল্লাহর অসীম রহমত ও সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন।