অনলাইন ডেস্ক:: স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে কক্সবাজারে বেড়াতে যাওয়া এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় ক’দিন ধরেই দেশব্যাপী আলোচনায় কক্সবাজার। এর মধ্যেই বুধবার জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয়, সমুদ্র সৈকতে নারী-শিশুদের জন্য আলাদা জোন করা হবে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সেই বিশেষ জোন উদ্বোধনও করা হয়। তবে সমালোচনার মুখে ১০ ঘণ্টার ব্যবধানেই বদলে গেল সে সিদ্ধান্ত।

বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে এক বার্তায় জেলা প্রশাসন বলছে, সৈকতে নারী ও শিশুদের জন্য বিশেষ জোন চালু রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পর্যটকদের মতামতকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।

জেলা প্রশাসন বার্তায় বলছেন, জেলা প্রশাসন পর্যটকদের মতামতের ওপর সবসময় শ্রদ্ধাশীল। বিভিন্ন সময়ে পর্যটকদের মধ্যে অনেকেই অনুরোধ করেছেন, নারী ও শিশু পর্যটকদের জন্য যারা ইচ্ছা পোষণ করবেন, তাদের জন্য একটি এক্সক্লুসিভ জোন থাকলে ভালো হয়। সে বিবেচনায় সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে একটি পৃথক এলাকা চিহ্নিত করে নারী ও শিশুদের জন্য এক্সক্লুসিভ জোন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এক্সক্লুসিভ জোনে যাদের ইচ্ছা হবে যাবেন, অন্য পর্যটকরা নিজেদের ইচ্ছামতো ঘুরবেন।

বার্তায় আরও বলা হয়, এ সংক্রান্ত সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়। প্রচারিত সংবাদের প্রতিক্রিয়া পর্যালোচনায় বিষয়টি নিয়ে বিরূপ মতামত পাওয়া গেছে। পর্যটকদের মতামতের ওপর আমরা সবসময় শ্রদ্ধাশীল। তাই পর্যটকদের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নারী ও শিশুদের জন্য এক্সক্লুসিভ জোন চালু রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হলো।

এর আগে, দুপুর ১২টার দিকে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের লাবণী পয়েন্টে নারী-শিশু জোনের উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। তিনি জানান, এর ফলে এই জোনে নারী-শিশুরা অনেক নির্বিঘ্নে আনন্দমগ্ন থাকবে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.মহিউদ্দিন আহমেদ এবং জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলামও ওই সময় এই উদ্যোগের পক্ষে কথা বলেন।

এদিকে, সৈকতে নারী-শিশুদের জন্য আলাদা এই জোন নিয়ে অনলাইন-অফলাইনে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। উদ্যোগটি কোনোভাবেই বাস্তবসম্মত নয় বলে মত দেন অনেকেই। তার পরিপ্রেক্ষিতেই ১০ ঘণ্টার মধ্যেই সেই জোনটি চালু রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করল জেলা প্রশাসন।

-সারাবাংলা