এম বশির উল্লাহ. মহেশখালী(কক্সবাজার) :

সাগরে গত একমাস ধরে ফিশিং ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা সংগঠিত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ডাকাতির শিকার হচ্ছে মহেশখালী সহ উপকূলের ট্রলার সমুহ জলদস্যুরা সোনাদিয়া চ্যানেল সহ সাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে ডাকাতি করে আসছিলো।

সর্বশেষ গত ২৪ ডিসেম্বর কুতুবজুমের ঘটিভাঙ্গার আমির হোসেনের মালিকাধিন এফবি মায়ের দোয়া সহ ৪টি ট্রলারে ডাকাতি করে ১৫ জন জেলেকে আহত করে জলদস্যুরা। এঘটনার পর থেকে পুলিশ ও কোস্টর্গাড নিয়মিত তল্লাশীর পাশাপাশি বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চলমান রেখেছে।

(২৭ডিসেম্বর ) সোমবার সকালে মহেশখালী থানার পুলিশের কাছে খবর আসে সোনাদিয়া চ্যানলে একদল জলদস্যু ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে । এমন সংবাদের ভিত্তিত্বে পুলিশ সোনাদিয়া পশ্চিমে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ ৫জনকে আটক করে।

আটককৃতরা হলেন , সোনাদিয়া পশ্চিম পাড়ার মাহমুদুল হকের পুত্র মোঃ রাসেল (৩২), মাতারবাড়ি ইউনিয়নের নুরুল হোসনের পুত্র ওয়াজ উদ্দীন (২৭), আবুল হোসনের পুত্র মোঃ সাগর (২৫),আবুল হোসনের পুত্র আবদুল মালেক (৩৫), নাজিরের টেক এলাকার মিয়া হোসনের পুত্র রোহিঙ্গা শহিদ (২৩)। এসময় তাদের কাজ থেকে ১ টি এক নলা বন্দুক ও একটি লম্বা রাম দা উদ্ধার করে পুলিশ।

মহেশখালী থানার ওসি আব্দুল হাই জানান, সোনদিয়া চ্যানেল সহ মহেশখালী উপকূলের সব চ্যানেলে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে, সাগরে জেলেদের জন্য নিরাপদ রাখতে জলদস্যুদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।

এদিকে স্থানীয় সোনাদিয়ার বাসিন্দাদের দাবী মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বেশ কিছু লোকজন সোনাদিয়া আশ্রয় নিয়ে সাগরে ডাকাতি সহ বিভিন্ন অপর্কম করে যাচ্ছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হলে সাগর নিরাপদ থাকবে।

অভিযানে মহেশখালী থানার এস আই শাহদত , এএসআই জাহেদ ও মনিষ সরকার সহ মহেশখালী থানা পুলিশের ১০ সদস্যদের একটি টিম ।

সোনাদিয়ার ইউপি সদস্য একরাম মিয়া দাবী করেন আটককৃতরা জলদস্যু তাদের রিমান্ডে নিয়ে গেলে আরো সঠিক তথ্য বের হয়ে আসছে।