আব্দুল্লাহ সায়েম:

একজন শিক্ষার্থী করোনার টিকা দিতে যাওয়ার যাতায়াত খরচ প্রায় ৬৫০ টাকা। শুনে নিশ্চয়ই অবাক হয়েছেন! চলুন বিস্তারিত জেনে নেই একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তথ্য দিয়ে।

১২-১৭ বছর বয়সী শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকা দিচ্ছে সরকার । শুরুতে দেশের ৩০ লাখ ছেলেমেয়েকে এই টিকা দেয়া হবে। জন্ম-নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে শিশুরা এই টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের উপজেলার দূর দূরান্তের বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে টিকা দিতে আসতে হবে কক্সবাজার শহরের বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলে। যেখানে অন্তর্ভুক্ত আছে নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের অত্যন্ত প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত গোমাতলী উচ্চ বিদ্যালয়সহ আরও অনেক দূর দূরান্তের বিদ্যালয় । চলুন এবার একটি সমীকরণ মেলানো যাক কক্সবাজার জেলার নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার অন্তর্ভুক্ত গোমাতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত খরচ নিয়ে…

উত্তর গোমাতলী থেকে ঈদগাঁও বাস স্টেশনে একজনের সিএনজি ভাড়া ৫০ টাকা, ঈদগাঁও থেকে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল ভাড়া ৪০ টাকা ( আগে ছিল ৩০ সম্প্রতি ১০ টাকা বেড়েছে) বাসটার্মিনাল থেকে হলিডে মোড় পর্যন্ত ভাড়া ২০ টাকা আর হলিডে মোড় থেকে বিয়াম ল্যাবরেটরিতে ১০ টাকা। শুধু একজন শিক্ষার্থী ঐ স্থানে যেতে খরচ ১৩০ টাকা আর গার্ডিয়ান সহ এই ভাড়া দাঁড়ায় ২৬০ টাকা। এবার দুপুরের খাবারে জনপ্রতি নূন্যতম ৫০ টাকা হলেও দুজন মিলে ১০০ । এখন খরচ টা দাঁড়ায় ৩৬০ টাকা সাথে টিকা দিতে ফিরতে আসা – যাওয়া ও গাড়িভাড়াসহ দাঁড়ায় মোট (৩৬০+২৬০) ৬২০ টাকা। এই সমীকরণ নিশ্চয়ই পরিবর্তন হতে পারে তবে কমবে না বাড়বেই। যদিও এই টিকা দিতে শহরের শিক্ষার্থীদের খরচ পড়বে অতিজোর ৫০ টাকা।

অধিকাংশ অভিভাবক ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন “এই টিকা যদি স্কুল পর্যায়ে দেয়া যেত তাহলে এই কঠিন হয়রানি লাঘব হতো অভিভাবকদেরও “।

শিক্ষার্থীদের এই দূর্ভোগ লাঘবের কোনো বিকল্প ব্যবস্থা আছে কিনা জানতে চাইলে এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, “এই টিকা নির্দিষ্ট একটি তাপমাত্রায় রাখতে হয়, যার কারণে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ ছাড়া এই টিকা সংরক্ষণ সম্ভব না বিধায় শহরের বিয়াম ল্যাবরেটরিই বেচে নেয়া হয় “।