অনলাইন ডেস্ক: শুল্কমুক্ত গাড়ি অবৈধভাবে বিক্রির মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদের সাজা বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। তবে ৫ বছর থেকে কমিয়ে সেটি ১৬ মাস করা হয়েছে। আর এই সাজা তিনি খেটে ফেলেছেন তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কারাবন্দী থাকার সময়েই। তাই তাকে নতুন করে আর জেলে যেতে হবে না। একইসাথে দণ্ড ২ বছরের কম হওয়ায় অক্ষত রয়েছে তার সংসদ সদস্য পদ।

২০০৫ সালে এমপি থাকা কালে শুল্ক মুক্ত সুবিধায় বিদেশ থেকে হ্যামার গাড়ি আনিয়েছিলেন সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ। ২ বছর ব্যবহারের আগেই তিনি সেটি বিক্রি করে দেন। বিধান অনুযায়ী সেজন্য তাকে গাড়ির রেয়াদকৃত শুল্ক পরিশোধ করতে হতো। কিন্তু তিনি সেটি করেননি।

এ ঘটনায় দায়ের হওয়া দুদকের মামলায় হারুনসহ ৩জনকে ৫ বছরের সাজা দিয়েছিল নিম্ন আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে সাজা কমিয়ে ১৬ মাস করা হয়। একইসাথে তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে হারুনের ১৬ মাসের হাজতবাসের সময়টিকে কারাবাস বলে গণ্য করেছেন বিচারক। ফলে তাকে নতুন করে জেলে যেতে হবে না।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মুখ্য আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, হারুন অর রশিদ বিএনপির অন্যতম যুগ্ম মহাসচিব এবং বর্তমান সংসদে চাপাইনবাবগঞ্জ ৪ আসনের এমপি। সাজা ২ বছরের কম হওয়ায় রক্ষা পেয়েছে তার সংসদ সদস্য পদ। তবে তিনি জানান, এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।

এমপি হারুনের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, মামলার অপর দুই আসামি গাড়ির ক্রেতা এনায়েতুর রহমান বাপ্পী ও গাড়ি ব্যবসায়ী ইশতিয়াক সাদেকের ব্যাপারেও একই আদেশ দিয়েছেন আদালত। তাদেরও নতুন করে আর জেল খাটতে হবে না।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. সেলিমের একক ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ তার সাজা বাতিলের আপিল আবেদনটি খারিজ করে দেন।