হ্যাপী করিম, মহেশখালী:
মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের ইউনুছখালী বাজারের মোটরবাইকের ধাক্কায় এক পথচারী’সহ চালক ও মোটরবাইকেল থাকা আরো দুইজনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে। ২৮ নভেম্বর রবিবার রাত আনুমানিক ৭ টার সময় ইউনুছখালী বাজারে টিপু মার্কেটের সামনে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহত পথচারী শওকত আলী (২২) মাইজপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল গাফ্ফারের ছেলে বলে জানা গেছে। এছাড়াও দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন চালকসহ আরও দুই যাত্রী। তারা হলেন, হোয়ানক ইউনিয়নের হরিয়ারছড়া গ্রামের বশর আলীর পুত্র মোটরবাইক চালক গিয়াস উদ্দিন, একই গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে গিয়াস উদ্দিন, আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী জাহাঙ্গীর আলম জানান, মোটরবাইক চালক তিনজন আরোহী নিয়ে বেপরোয়া গতিতে বদরখালী অভিমূখে যাচ্ছিলো। আমি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম। আহত শওকত আলী রাস্তা পার হতে গিয়ে মোটর বাইকের সাথে ধাক্কা লাগলে প্রায় বারো হাত দূর থেকে আমার গায়ের উপর পড়েন। এসময় আহত ব্যক্তির কোমর, মাথা, মুখে ও চোখে গুরুতর জখম প্রাপ্ত হয়।

স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে দ্রুত চকরিয়া জমজম হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে আহত ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কাশেম বলেন, দূর্ঘটনার বিষয়টি খুবই মর্মাত্মিক বলে শুনেছি। তবে তিনি রাস্তার স্পীড ব্রেকার না থাকায় প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা হচ্ছে বলে দাবি করেন। এ এলাকায় বিগত দশ বছরে ৬-৭ জন রোড এক্সিডেন্টে মারা গেছেন। এবিষয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রতি মোড়ে মোড়ে, স্কুল-মাদ্রাসার সামনে স্পীড ব্রেকার দেয়ার আশ্বাস দিলেও কাজ হয়নি বলে জানান তিনি।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গুরুতর আহত শওকত আলীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।