সোয়েব সাঈদ, রামু:
সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে রামুর রশিদনগরে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর ভরাডুবি নিয়ে জেলাজুড়ে বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। এ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন- তরুন ছাত্রলীগ নেতা মোয়াজ্জম মোর্শেদ। শুরু থেকে তিনি নানা বিতর্কে জড়ালেও নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় নিয়ে এখন তিনি সর্বত্র আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি-সম্পাদক সহ দলীয় নেতাকর্মীদের বিশ^াসঘাতকতায় এ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের ভরাডুবি হয়েছে। এরমধ্যে রশিদনগর ইউনিয়ন আওয়ালীগ সভাপতি বজল আহমদ বাবুলের বাড়ির কাছের ৬ নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র নাসিরা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে ভোট পড়েছে মাত্র ১৫টি। এছাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সায়েম মোহাম্মদ শাহীনের বাড়ির পাশর্^বর্তী ৭ নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র রশিদনগর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট পড়েছে ১৪ টি।
ফলে এ নির্বাচনে বিপুল ভোটে হেরে জামানত হারিয়েছেন – আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোয়াজ্জম মোর্শেদ। তিনি জানিয়েছেন- ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সহ নেতাকর্মীদের অনুপ্রেরনায় তিনি নৌতা প্রতীক চেয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের আগমূহুর্তে এসব নেতাকর্মী রহস্যজনকভাবে প্রতিদ্বন্ধি অপর প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে কাজ করে। এমনকি তারা নিজেরাও নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়নি।
তিনি আরো জানান- রশিদনগর ইউনিয়নটি বিএনপি-জামায়াত অধ্যূষিত। এরপরও তিনি নিজের কেন্দ্রে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। আরো কয়েকটি কেন্দ্রেও বিরোধিতা সত্তে¡ও বিপুল ভোট পেয়েছেন। কিন্তু যারা নৌকার জন্য শুরু থেকে কাজ করেছেন, তারা ভোট গ্রহনের আগে পল্টিবাজী করে অন্য প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। এরমধ্যে সভাপতি- সম্পাদক প্রতিদ্বন্ধি ২ স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভোটারদেরও টাকা বিলি করেন। যার ফলে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোট পড়েনি। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মিজানুল করিমও নৌকা প্রতীকের পরিবর্তে স্বতন্ত্র প্রার্থী হান্নান ছিদ্দিকীর মোটর সাইকেল প্রতীকের পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রশিদনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগরে সভাপতি বজল আহমদ বাবুল নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি জানান- মূলত এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী শাহ আলম আওয়ামীলীগের নেতা। তাই ভোটাররা শেষ মূহুর্তে নৌকার পরিবর্তে ২ স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহ আলমের পক্ষে রায় দিয়েছে। এতে তাঁর করার কিছুই ছিলো না। তিনি আরো জানান- রশিদনগরে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নির্বাচনের আগে দলের নেতাকর্মীদের সাথে কোনপ্রকার সমন্বয় করেনি। যার কারনে তার শোচনীয় পরাজয় হয়েছে।