ডেস্ক নিউজ:

মাদরাসার অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ-মুহাদ্দিস পদে নিয়োগ নিয়ে রুল জারি হয়েছে।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২০ বাতিল করে আলিম স্তরের আরবি প্রভাষক পদ থেকে ফাজিল (ডিগ্রী পাস) কামিল (এমএ) এবং আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও মুহাদ্দিস পদে নতুন নিয়োগের প্রক্রিয়ায় আবেদনের সুযোগ প্রদান না করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে, আলিম স্তরের আরবির প্রভাষক পদ থেকে ফাজিল (পাস) কামিল এবং আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও মুহাদ্দিস পদে নতুন নিয়োগের প্রক্রিয়ায় আবেদনের সুযোগ প্রদানের বিধি অন্তুর্ভুক্তকরণের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব (কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ) ও মাদরাসা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) সংশ্লিষ্ট ৫ জনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

দেশের বিভিন্ন এলাকার আলিম মাদরাসার ৮ জন আরবি প্রভাষকের দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (১৫ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে এদিন রিটকারীদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট বিপুল বাগমার।

রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ প্রদান এবং জনবলকাঠামো সর্ম্পকিত নির্দেশিকা, ২০১০ (সংশোধিত, ২০১৩) অনুসারে আলিম স্তরের আরবির প্রভাষক পদ থেকে ফাজিল (পাস) কামিল এবং আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও মুহাদ্দিস পদে নতুন নিয়োগের প্রক্রিয়ায় আবেদনের সুযোগ ছিল। কিন্তু বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮’র মাধ্যমে পূর্বের নীতিমালা বাতিল করে ইবতেদায়ী প্রধান, দাখিল মাদরাসার সুপারদের আবেদনের সুযোগ প্রদান করে নীতিমালা প্রণনয় করা হয়। তাই আবেদনকারীরা উক্ত রিট পিটিশনটি দায়ের করেন।
রিট পিটিশনারগণ হলেন- আব্দুল মান্নান, জয়নুল আবেদীন, আব্দুল মান্নান, মোহাম্মদ নুরুল হক, মোহাম্মদ মুসা কাজেম, মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, মো. জালাল উদ্দিন।