আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী ( মাহমুদুল হক চৌধুরী) জনৈক বাদশা মিয়া চৌধুরী কর্তৃক মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মূল বিষয়গুলি নিম্নরূপ:
১। আমার পিতা মরহুম বক্তার আহমদ চৌধুরী একজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্টাতা সভাপতি।
২। আওয়ামীলীগ করার কারনে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদারবাহিনী আমার বাড়িতে আক্রমণ করে। সেই দিন আমরা প্রাণে বেঁচে গেলেও আমাদের সব ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়।
৩। আমি ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ পয্যন্ত চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সহ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি।
৪। ১৯৮৪ সনের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি বাদশা মিয়া চৌধুরী কে পরাজিত করে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই।
৫। ১৯৮৫ সনের নির্বাচনে আমি আওয়ামী লীগের সমর্থনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই।
৬। ১৯৮৬/ ১৯৯১ সনের নির্বাচনে আমি উখিয়া টেকনাফ আসনে নৌকার প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করি।
৬।২০০৫ সালে আওয়ামীলীগের চরম দূ:সময়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্য্যালয়ে ডেকে নিয়ে আমাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে আওয়ামীলীগে কাজ করতে নির্দেশ দেন। সেই থেকে আমি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
৭। ২০০৮-২০১৪ ও ২০১৮ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে উখিয়া উপজেলার প্রধান হিসাবে কাজ করি।
৮। ২০১২ সালে বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার সময় উখিয়াতে প্রতিরোধ করি, যার কারনে উখিয়ার অধিকাংশ বৌদ্ধ মন্দির ও পল্লী রক্ষা পায়, যা পুরো বিশ্ব জানেন।
আমি কারো ভূমি দখল করেছি মর্মে কোন অভিযোগ প্রমানিত হলে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি গ্রহণ করিব। মূল কথা হল আমার ছেলে ইমরুল কায়েস চৌধুরী যার আগাগোড়া ছাত্রলীগ / আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সাথে সম্পর্কিত এবং যার নানা দৈনিক কক্সবাজার সম্পাদক জনাব মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক । আমার ছেলে ইমরুল কায়েস চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা পরিলক্ষিত করে জনাব বাদশা মিয়া চৌধুরীকে শেষ মূহুর্তে ব্যবহার করে একটি চক্র ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।
আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন।

নিবেদক
মাহমুদুল হক চৌধুরী
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান
উখিয়া উপজেলা