মিয়ানমার সীমান্ত ঘিরে সর্বোচ্চ নজরদারির ব্যবস্থা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ৬ অক্টোবর, ২০২১ ১১:২৭

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


ররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বুধবার নিজের মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

সিবিএন ডেস্ক:
মিয়ানমার সীমান্ত ঘিরে সর্বোচ্চ নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। মুহিবুল্লাহ হত্যার পর রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আর অঘটন ঘটতে দেখতে চায় না বাংলাদেশ।

মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক যেন না আসে এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ কড়া নজরদারি দেওয়া হচ্ছে। বুধবার নিজের মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ভাসানচর ও কক্সবাজার ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের সমুদ্র পারি দেওয়ার ঘটনা ঠেকানো সম্ভব না বলে জানান তিনি।

ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘সরকার রোহিঙ্গানেতা মুহিবুল্লাহর হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমরা কোথাও এ ধরনের ঘটনা (হত্যাকাণ্ড) চাই না।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার ইতোমধ্যেই এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততায় কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কাজ করছে।

ড. মোমেন সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন যে কেউ কেউ রাখাইনে নিজ ভূমিতে ফিরে যাওয়ার জন্য মুহিবুল্লাহকে পছন্দ নাও করে থাকতে পারে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ ভূমি মিয়ানমারে নিরাপদে ফিরে যেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মানব পাচারের পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র ও মাদক পাচারের কিছু প্রতিবেদনের কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যেই এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বসে নেই। এগুলো বন্ধে আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’

আবদুল মোমেন বলেন, আফগানিস্তানকে ঘিরে চলমান বৈশ্বিক সংকট সত্ত্বেও সদ্য সমাপ্ত জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গা ইস্যুটিও বেশ ভালোভাবেই আলোচিত হয়েছে।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার জেলায় আশ্রয় দিয়েছে। এদের অধিকাংশই মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর দমন-অভিযান শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘ এই নির্মম ঘটনাকে ‘জাতিগত নিধনের প্রকৃষ্ট উদাহরণ’ এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

বিগত চার বছরে একজন রোহিঙ্গাও তাদের দেশে ফিরে যায়নি। যদিও মিয়ানমার তাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছিল।