বাংলা ট্রিবিউন: বিমানবন্দরে প্রবেশ করা থেকে শুরু করে উড়োজাহাজে ওঠা পর্যন্ত দশবারও লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী যাত্রীদের। প্রায় একই সময়ে ফ্লাইট থাকায় রাতে যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা। এ কারণে ফ্লাইটের কমপক্ষে ৬-৭ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে আসার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে অতিরিক্ত সময় হাতে নিয়ে বিমানবন্দরে আসার পর করোনা পরীক্ষা নিয়ে অব্যবস্থাপনার কারণে ফ্লাইট মিস করছেন অনেক যাত্রী। মঙ্গলবার কমপক্ষে ৮০ জন যাত্রী বিমানবন্দরে এসে করোনা পরীক্ষা করেও সময়মতো রিপোর্ট না পাওয়ার কারণে ফ্লাইট ধরতে পারনেনি।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাতে ইতিহাদ এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে আরব আমিরাতগামী ৮০ যাত্রী ফ্লাইট ধরতে পারেননি। বোর্ডিং কাউন্টার ক্লোজ হওয়ার পর বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট দেওয়ায় তারা ফ্লাইট ধরতে পারেননি।
আরব আমিরাতগামী এয়ারলাইন্সগুলোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘ফ্লাইট ছাড়ার কমপক্ষে ১ ঘণ্টা আগে বোর্ডিং কাউন্টার বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু সেই সময়ের মধ্যে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট না দেওয়ায় বোর্ডিং কাউন্টার বন্ধ হওয়ার পর আসছেন যাত্রীরা। তখন আর ফ্লাইটে নেওয়ার সুযোগ থাকে না তাদের। তবে দুয়েকজন যাত্রী হলে আমার ফ্লাইট ডিলে হলেও নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। তবে এমন যাত্রী বেশি হলে আমাদের পক্ষে নেওয়া সম্ভব নয়। এজন্য আমরা বারবার ল্যাবগুলোকে অনুরোধ করেছি, ফ্লাইটের সময় ধরে দ্রুত রিপোর্ট দিতে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা বলেন, ‘যাত্রীদের ফ্লাইটের সময় বিবেচনা করে রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে না। রিপোর্ট দেওয়ার পরও অনলাইন যাচাইয়ের জন্য লাইনে দাঁড় করানো হচ্ছে। বিমানবন্দরের ভেতর যে রিপোর্ট দেওয়া হয়, সেটা কেন আবার যাচাই করতে হবে?’
গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ছয় দিনে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যেতে বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা করেছেন ৩ হাজার ২৪৯ জন। বিমানবন্দরে ফ্লাইট ছাড়ার আগে ৬ ঘণ্টার মধ্যে এই পরীক্ষা করতে হয় আরব আমিরাতগামী যাত্রীদের। গত ছয় দিনে পরীক্ষায় একজনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছিল।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ-উল আহসান বলেন, ‘প্রতিদিনই আরব আমিরাতে ফ্লাইট যাচ্ছে। দেশটিতে প্রবেশ করতে ৪৮ ঘণ্টা আগে একবার করোনা পরীক্ষা করাতে হয়। বিমানবন্দরে এসে যাত্রার ৬ ঘণ্টা আগেও আরেকবার পরীক্ষা করাতে হয়। অনেক যাত্রী বিমানবন্দরে দেরি করে আসছেন বলে সমস্যা হচ্ছে।’
এ পরিপ্রেক্ষিতে ফ্লাইটের ৮ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে আসার পরামর্শ দেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ-উল আহসান।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্টেমজ হেলথ কেয়ার (বিডি) লিমিটেড ঢাকা, সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার, এএমজেড হাসপাতাল লিমিটেড, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, গুলশান ক্লিনিক লিমিটেড ও ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক- এই ৬টি প্রতিষ্ঠান করোনা পরীক্ষা করছে। পরীক্ষা করাতে ১ হাজার ৬০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে প্রবাসী কর্মীদের জন্য এ টাকা দেবে সরকার।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।