আব্দুস সালাম, টেকনাফ:
টেকনাফে পৃথক অভিযান চালিয়ে ১লাখ ৪ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৫ মাঝিমাল্লাকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
এ সময় পাচার কাজে ব্যবহৃত ফিশিং ট্রলার ও মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফয়সাল হাসান খান আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার সন্ধ্যায় টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ মিস্ত্রী পাড়া ঘাট দিয়ে ইয়াবার একটি চালান পাচারের গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নাফ নদীর মোহনায় মাছ ধরার একটি ফিশিং ট্রলারে অভিযান চালিয়ে সন্দেহ জনক ৫ জন মাঝিমাল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ কালে তারা ট্রলারে ইয়াবা রয়েছে বলে স্বীকার করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মতে ট্রলারের তেলের ট্যাংকিতে লুকানো অবস্থায় ৯০ হাজার পিস ইয়াবাসহ তাদের আটক করা হয়। এসময় ৫শ কেজি জালসহ ট্রলারটিও জব্দ করা হয়।
আটক মাঝিমাল্লারা হলেন-সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ মাঝের পাড়া এলাকার শাহ আলম প্রকাশ শাহাব মিয়ার ছেলে শামশুল আলম (২৫), শাহপরীরদ্বীপ উত্তর পাড়া মো. হাছনের ছেলে আক্তার হোসেন (৩৫), শাহপরীরদ্বীপ হাজী পাড়ার কালামিয়ার ছেলে মো. হোসেন (২৮), হ্নীলা ইউনিয়নের মুচনী ২৬ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মৃত আহমদ হোছনের ছেলে জমির হোসেন (৫০), বালুখালী ১৮ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মৃত বশির আহমদের ছেলে কেফায়াত উল্লাহ (৩০)।
এছাড়া একই দিনে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন দমদমিয়া বিওপির তল্লাশী চৌকিতে একটি নাম্বার বিহীন মোটর সাইকেলকে থামানোর সংকেত দিলে কিছুদূর গিয়ে চালক মোটর সাইকেলটি ফেলে পার্শ্ববর্তী পাহাড়ের দিকে পালিয়ে গেলে ধাওয়া করেও তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে মোটর সাইকেলের তেলের ট্যাংকি থেকে বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় ১৪ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এসময় মোটর সাইকেলটিও জব্দ করা হয়।
তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত ইয়াবা ও মোটরসাইকেলসহ আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। জব্দকৃত জাল ও ট্রলারটি টেকনাফ শুল্ক গুদামে জমা দেয়ার কার্যক্রম বলে জানিয়েছে বিজিবির এই কর্মকর্তা।