মো. বেলাল উদ্দিন
পেকুয়ার বারবাকিয়া ইউপি নির্বাচনে নৌকা পাওয়ার দৌড়ে এবারও এগিয়ে রয়েছেন জি এম আবুল কাশেম। বারবাকিয়া ইউনিয়ন আ.লীগ, উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সাথে কথা বলে এমন আভাস পাওয়া গেছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই নেতা ২০১৬ সালে এই ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে নৌকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তাছাড়া এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন শিলখালী ইউনিয়নের সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেচী। সম্প্রতি ভোটার তালিকায় তাঁর নাম শিলখালী থেকে বারবাকিয়ায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমার বাবা মরহুম ছাদেকুর রহমান ওয়ারেচী বৃহত্তর বারবাকিয়ায় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। এই বারবাকিয়ার মানুষের প্রতি আমার পরিবারের ভালোবাসার সম্পর্কটা দীর্ঘদিনের। তাই আসন্ন নির্বাচনে আমি বারবাকিয়া ইউপি থেকে নৌকা নিয়ে নির্বাচন করতে ইচ্ছুক। তবে দল যাকে মনোনয়ন দিবে আমি তাঁর পক্ষেই কাজ করবো।”
এদিকে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বারেক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম কফিল উদ্দিন বাহাদুরও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে কাজ করে যাচ্ছেন। বারবাকিয়ার প্রায় রাস্তার মোড়ে, স্টেশনে, ঘাটে তাঁদের প্রচারিত ব্যানার-ফেস্টুন ঝুলছে। তাঁরা দুজনেও নৌকা পেলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পক্ষে। অন্যথায় নৌকা যে পাবে তাকে বিজয়ী করতেই মাঠে থাকবেন বলে জানান উপজেলা যুবলীগ-ছাত্রলীগের এই দুই নির্বাহী।
বারবাকিয়ার আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা চাই এমন একজনকে নৌকা দেওয়া হোক যে নির্বাচনের পরেও সংগঠনকে ঘোচাতে, সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে এলাকায় অবস্থান করবে। বারবাকিয়া ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি সরওয়ার উদ্দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখেন, দল ক্ষমতায় থাকার কারনে নৌকা প্রতিক পেতে অনেকেই মরিয়া। আমরা তৃণমূল আওয়ামী লীগের কর্মীরা চাইবো দল এমন একজনকে নৌকা মার্কা দেওয়া হোক যার জনপ্রিয়তা থাকবে আকাশচুম্বী। সাধারণ মানুষ ও দলের জন্য নিবেদন থাকবে অনেক বেশি। এই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বদিউল আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে এবারের নির্বাচনেও লড়বেন বলে জোর গুঞ্জন রয়েছে।
তিনি ২০১১ সাল ও ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন। অন্যদিকে এই ইউপির নির্বাচন ঘিরে দ্বিধায় রয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বিএনপি ইউপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়াতে এই ইউনিয়নের বিএনপির নেতাকর্মীরা দোলাচলে রয়েছেন। এ ইউনিয়ন থেকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। তবে ইকবাল হোসেন বলেন, “দল যেহেতু নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেনা, তাই এখন পর্যন্ত আমরা নির্বাচনের সাথে নেই। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর আদলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেও পারি, আবা তা নাও হতে পারে।”
বারবাকিয়ার তরুণ যুবদল নেতা মাইন উদ্দিন শাকিল বিএনপির সমর্থন নিয়ে বারবাকিয়ায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনিও প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক যদি কিন্তুর কথা বলেছেন। তিনি বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদ গ্রীণ সিগন্যাল দিলেই আমি প্রার্থী হবো। বিএনপির নির্দেশনা না থাকলেও প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নেই।
জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও নৌকার দৌড়ে এগিয়ে থাকা জি এম আবুল কাশেম বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে গিয়ে এমন কোন কাজ করিনাই যার কারনে দলকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। গতবারের নির্বাচনে মাত্র ১২৬ ভোটের ব্যবধানে আমি হেরে যায়। যদিও এই নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। বারবাকিয়ার মানুষ আমাকে চায়। তাই আমি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। দলের হাইকমান্ডও আমাকে নিশ্চিত করেছে। মাঠে কাজ করার জন্য নির্দেশনাও দিয়েছেন।