এইচ.কে রফিক উদ্দিন:
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মাষ্টার মুহিবুল্লাহর হত্যা কান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে আরো দুই রোহিঙ্গাকে আটক করেছে আর্ম পুলিশ ব্যাটেলিয়ন (এপিবিএন)।আটককৃত রোহিঙ্গারা হল উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্প ১- ইষ্টের বাসিন্দা জকির আহমেদের ছেলে জিয়াউর রহমান (৩২) ও মৃত মকবুল আহমেদের ছেলে আব্দুস সালাম (২৯)।আটককৃতদের সকালে উখিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়।
মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

শনিবার ২ অক্টোবর ভোর ৪ টার দিকে তাদেরকে আটক করা হয়।১৪ এপিবিএন’র অধিনায়ক নায়মুল হক বলেন,হত্যা কান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে আরো দু’জনকে আটক করা হয়।আটককৃতদের উখিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়।

নিহত মুহিবুল্লাহর ভাই হাবিবুল্লাহ বাদি হয়ে উখিয়া থানায় একটি হত্যা দায়ের করেন।এতে ২৫ জনকে অঞ্জাত নামা আসামি করা হয়। যার মামলা নং১২৬ তারিখ ৩০-০৯-২১ ইং।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, হত্যাকান্ডের ৪ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত সাধারণ রোহিঙ্গাদের মাঝে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।অনেক রোহিঙ্গারা নিজেদের ঘরবাড়ী থেকে আগের মত বের হচ্ছে না।
লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা আবু সৈয়দ বলেন,এ হত্যাকান্ড কোনো ভাবে মেনে নেওয়া যায়না।দ্রুত হত্যা কান্ডের বিচার দাবি করেন তিনি।

আবু নাছের বলেন,মহিবুল্লাহ রোহিঙ্গাদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য বিশ্বের দরবারে দাবি তুলেছিল,তাকে হত্যা করে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করেছে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সন্জুর মোরশেদ বলেন, হত্যাকান্ডের ঘটনায় আটককৃত দুই আসামীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য গত বুধবার রাত সাড়ে ৪ টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১- ইষ্ট সংলগ্ন নিজ অফিসে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মাষ্টার মুহিবুল্লাহ।