আলমগীর মানিক, রাঙামাটি:
পাহাড়ের দুই জেলায় পৃথক ঘটনায় নিহত দুই নারী-পুরষের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতদের মধ্যে বৃথা চাকমা (৩২) নামের এক নারী রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে কাচালং নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়ার দুইদিন পর সোমবার সকালে তার মরদেহ ভেসে উঠে। স্থানীয়রা পরবর্তীতে বাঘাইছড়ি থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ডাঙায় তোলে।
বৃথা চাকমা গত ৪ এপ্রিল নিজ বাড়ীর পাশে কাচালং নদীর গোপালের ঘাটে গোসল করতে নেমে পানিতে তলিয়ে যায়, সে বাঘাইছড়ি উপজেলাধীন রূপকারী ইউনিয়নের ভক্ত পাড়া গ্রামের ত্রিলোশন চাকমার মেয়ে। নিহতের বাবা ত্রিলোশন চাকমা জানান, আমার মেয়ে মৃগি রোগে আক্রান্ত ছিলো তাই পানিতে নেমে আর উঠতে পারেনি মেয়ের লাশ ময়না তদন্ত না করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। বাঘাইছড়ি থানার ওসি এমএ মনজুর বলেন ময়নাতদন্তের বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবো।
এদিকে, পার্বত্য জেলা বান্দরবানের রুমা উপজেলা থেকে এক হেডম্যান পুত্রের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম লুসাইমং মারমা। গতকাল (রোববার) রাতে পাইন্দু ইউনিয়নের বাগানপাড়া এলাকার দূরবর্তী পাহাড়ের ঝর্ণার কাছ থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রুমা উপজেলার পাইন্দু মৌজার হেডম্যান মংচউ মারমা এর ছেলে লুসাইমং মারমা গত শুক্রবার বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
রোববার সন্ধ্যায় স্থানীয়রা পাহাড়ে জুমে আগুন দিতে গেলে পাইন্দু ইউনিয়নের বাগানপাড়া এলাকার দূরবর্তী পাহাড়ের ঝর্ণায় তার রক্তাক্ত গলাকাটা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাসেম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কে বা কারা হত্যা করেছে এই ব্যাপারে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।