সাইফুল ইসলাম

আজ মাদকের কারণে যারা অনাকাঙ্খিত মূত্যুর মুখাপেক্ষী হচ্ছে তাদের পরিবারের নিদারুণ করুণ পরিনতিগুলো একবার স্বচক্ষে দেখে আসুন। দেখবেন ছেলে হারানো মায়ের করুণ আর্তনাদ,বাবার বুক পাঠা কান্না,স্ত্রীর স্বামী হারানোর হৃদয়স্পর্শী বিলাপ,সন্তানের পিতা হারানোর শোকের এক অবর্ণনীয় চিত্র। একবার তাদের সাথে কথা বলে দেখুন,এই পরিস্থিতিতে তাদের কী কষ্ট ও বদনাম সহ্য করতে হচ্ছে! আর ভবিষ্যতে আরো কতকিছু শুনতে ও সহ্য করে তাদের বেঁচে থাকতে হবে।

যেখানে বাবার চোখের সামনে প্রিয় সন্তানকে চরম পরিনতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। যেখানে ছেলের জানাযায় বাবা,বাবার জানাযায় ছেলে উপস্হিত হতে পারেননা। এমন পরিস্থিতি কী কখনো কাম্য! অার যে সন্তানগুলো অবেলায় এতিম হচ্ছে তারা যখন বড় হবে তখন তাদের বাবার বদনামের তকমা মাথায় নিয়ে সারাজীবন কী তাদের চলতে হবেনা! তারা যখন বিদ্যালয় বা মাদ্রাসায় যাবে তখন অনেকে অনেক কথা বলবে, যেমন তোর বাবা নাকি অবৈধ ব্যবসায়ী ছিল ? তোর বাবাকে নাকি গুলি মারা হয়?আরো কত কিছু শুনতে হবে। আর এই অবস্হায় তাদের পাশে দাড়াবে কে? কে শুনাবে শান্তি,ধৈর্য্য ধরা ও ব্যথা সামলানোর বাণী? পাড়া,প্রতিবেশী,সমাজ তাদের এড়িয়ে চলবে। ঐ সন্তানদের কেউ পাত্র ও পাত্রী হিসেবে গ্রহণ করবে না। কারণ তারা একজন অপরাধীর সন্তান।

যারা আজ নিজে দুনিয়াবী শাহেনশাহ করার জন্য অথবা পরিবারকে সুখের সাগরে ভাসিয়ে রাখার জন্য নিজে অপরাধের সাগরে ডুব দিচ্ছেন, তারা কী কাজগুলো ভালো করছেন? বর্তমান পরিস্হিতি বিবেচনা করে একবার ভেবে দেখুন। যখন আপনার গায়ে অপরাধের একবার তকমা লাগবে তখন রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত শাস্তির জন্য আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে। এটাই চুড়ান্ত। ভেবে দেখুন একবার,কী প্রয়োজন এসবের ? যেসব কিছু আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য কখনো কল্যাণকর নয়। সময় থাকতে ছেড়ে দেন অবৈধ টাকা কামানোর পথ। নিজের পরিবার-পরিজন নিয়ে শান্তিতে বেঁচে থাকতে বৈধ পন্থা খোঁজুন। সমাজ ও রাষ্ট্রকে কলঙ্ক মুক্ত রাখতে সহযোগিতা করুন। আর যেন ব্যক্তি বিশেষের অপরাধের দায় রাষ্ট্রকে বহন করতে না হয়। (চলবে)