কালের কণ্ঠ : প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেয়েছে আইসল্যান্ড। শিরোপার আসরে ‘নতুন দল’ হিসেবে এসে প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি ফেবারিট আর্জেন্টিনার। যে দলটিতে খেলছেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় তারকাদের একজন লিওনেল মেসি। কিন্তু তাদের সামনেই আইসল্যান্ড দেখাল দুর্দান্ত রক্ষণ কাকে বলে! শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো আকাশী-নীল জার্সিধারীদের। এই ড্রয়ে মেসির দায় কম নয়!

বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নিজের পুরনো দুর্বলতা দেখালেন মেসি। ফ্রি কিকে দক্ষতা দেখাতে পারলেন না আর্জেন্টিনার ফুটবল জাদুকর! পেনাল্টি কিকের সুযোগ হেলায় হারালেন তিনি! ম্যাচের ৬৪তম মিনিটে মেসিকেই ডি বক্সের মধ্যে ফাউল করে বসেন আইসল্যাান্ডের সিগরুডসন। পেনাল্টি শট নিতে আসেন জাদুকর। কিন্তু তার শট অসাধারণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন আইসল্যাান্ড গোলকিপার হ্যালডরসন।

এর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে আইসল্যাান্ডের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সের্হিও আগুয়েরোর দুর্দান্ত গোলে প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। ম্যাচ শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যেই আর্জেন্টিনার জালে বল পাঠানোর খুব ভালো একটা সুযোগ পেয়েছিল আইসল্যাান্ড। নবম মিনিটে ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে ফরোয়ার্ড আলফ্রেদ ফিনবোগাসনের নিচু শট একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি।

ম্যাচের ১৯তম মিনিটে ডি-বক্সের ভেতরে ম্যানচেস্টার সিটির স্ট্রাইকারকে খুঁজে পান মার্কোস রোহো। সঙ্গে লেগে খেলোয়াড়কে এড়িয়ে বুলেট গতির শটে বল জালে পাঠান আগুয়েরো। এর মাত্র ৫ মিনিট পর আর্জন্টিনার জালে বল পাঠিয়ে ম্যাচে ১-১ সমতা আনে আইসল্যাান্ড।

গোলকিপার উইলি কাবাইয়েরো একটি চেষ্টা ফিরিয়ে দিলে বল পেয়ে যান আইসল্যান্ড ফরোয়ার্ড আলফ্রেড ফিনবোগাসন। ২৪তম মিনিটে খুব কাছ থেকে বল জালে পাঠান এই ফরোয়ার্ড। প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসা আইসল্যান্ড নিজেদের প্রথম ম্যাচেই গোলের দেখা পেয়ে গেল! সেটাও আবার আর্জেন্টিনার মতো তারকাবহুল দলের বিপক্ষে।

ম্যাচের বাকী সময়টুকু ডিফেন্সিভ খেলে গেল আইসল্যান্ড। যাতে গোলকিপার হ্যালডরসনের অবদান অপরিসীম। মেসি-ডি মারিয়া-আগুয়েরোদের বুলেট গতির সব শট ফিরিয়ে দেন তিনি। সোশ্যাল সাইটে আলোচনা শুরু হয়ে যায়, হ্যালডরসনের শরীর কি রাবার দিয়ে তৈরি! কী অসাধারণ দক্ষতা দেখালেন তিনি! মেসিদের হতাশ করলেন প্রথম ম্যাচেই।