উত্তরে আমি বললাম,এসব কথা পরে হবে।আগে বলো কার সাথে ডেটিংয়ে যাবে বলে এত প্রস্তুতি চলছে!
আমার মেসেজ সিন হয়েছে।কিন্তু শিখা,ইচ্ছে করেই রিপ্লে দেয়নি।আমি আবার একই প্রশ্ন করলাম।দুর্ভাগ্যবশত এবার আমার মেসেজ সেন্ড হলোনা।বুঝতে পারলাম শিখা আমাকে মেসেজ ব্লক করেছে।
শিখা মেয়েটা অল্পতেই খুব রেগে যায়।তাকে দেখলেই আমার খুব ভয় হয়।মনে হয় এই বুঝি আমাকে গিলে খাবে সে।অথচ সে সদ্য যৌবনে পা রাখা এক তরুণী।বাঘ কিংবা ভাল্লুক কোনটাই নই।তবু ও তাকে আমি কেন জানি খুব ভয় পায়।
টানা তিনদিন শিখার কোন খুঁজ নেই।না কল রিসিভ করে।না কোন টেক্সটের রিপ্লে দেয়।অনেকবার কল দিলাম,একবার ও ওয়েটিং পেলাম না।যদি ওয়েটিং পেতাম তখন হয়তোবা বুঝতে পারতাম সে মোবাইলের আশে পাশেই আছে।
চতুর্থ দিনের মাথায় শিখা আমাকে নিজ থেকে টেক্সট করে বলল,দেখা করবে।আমিও আর দেরি করলাম না।তাড়াহুড়ো করে শিখার সাথে দেখা করতে বেরিয়ে পড়ি।
আজ ষোলই ডিসেম্বর।মহান বিজয় দিবস।শিখা আমার আগেই এসেছে।সে সেলোয়ার-কামিজ পরেছে।কেন জানি মনে হলো,বিজয় দিবসের দিন মেয়েদের শাড়ি পরা উচিত।আগে-পিছে কিছু না ভেবেই শিখাকে বললাম,শাড়ি পরলে কিন্তু আজ তোমাকে খুব মানাতো।কথাটি শোনার পর শিখা আমার সামনে এসে দাঁড়ালো।আমার চোখে চোখ রাখলো।একটু মুচকি হাসলো।অতঃপর আমার গালে ঠাস করে একটি চড় বসিয়ে দিয়ে বলল,বেয়াদব!তোমার সাথে দেখা করতে আসব বলেই তো শাড়ি কিনতে চেয়েছিলাম।আর তুমি আমাকে সন্দেহ করেছো।
অবশেষে আমি বুঝতে পারলাম,,ভালোবাসার মানুষকে সন্দেহ করা ঠিক না।যদি করে এভাবেই চড় খেতে হয়।ভালোবাসা আর জুটে না!
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।