নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মহেশখালী উপজেলার হোয়ানকে স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতা স্লুইচ গেইটের পাশ্বে বাধ নির্মাণে জোয়ারের লবনাক্ত পানিতে ধানক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি এবং ফসল’সহ কয়েক’শ বিঘা আবাদি জমি। বিশেষ করে জোয়ারের পানিতে ধানক্ষেতে ঢুকে পড়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা ও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।

মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পুইজছড়া ও বানিয়াকাটা পশ্চিমে রামহরি ঘোনা অংশের লৌ’জর ঘোনা জোয়ারের পানি চলাচলের বাঁধ নির্মাণে ফসলি ক্ষেত এবং বসতবাড়ি। এতে খুব সহজেই জোয়ারের পানিতে তীরবর্তী জমিগুলো নিমজ্জিত হয়ে পড়ে।

বুধবার (১৮ ই জানুয়ারী) বিকেলে মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পুইজছড়া ও বানিয়াকাটা পশ্চিমে রামহরি ঘোনা এলাকায় গিয়ে জোয়ারের লবনাক্ত পানিতে ধানক্ষেতের ফসল’সহ কয়েক শ বিঘা আবাদি জমি গুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাধের উপর অবস্থান করছেন কৃষক ছৈয়দ নুর, অলি আহমদ,মোনাফ, কালা বাঁশি,বদ জানান, জোয়ারের পানিতে ধান ক্ষেতে পানি ঢুকে সুইচ গেইট খুলে অতিরিক্ত জোয়ারের পানি এসে ফসলের সর্বনাশ করে। গত বছরও জোয়ারের পানিতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়। নদীর তীরে বাঁধ নির্মাণে কৃষকরা হুমকির মধ্যে আছেন। সামনে জোয়ারের পানি বাড়তে পারে। তখন তাদের ক্ষতির পরিমাণও বাড়বে। কৃষকরা ধারদেনা করে চাষাবাদ করছে। তাই দ্রুত তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।

মহেশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম বলেন, হোয়ানক পুইজছড়া ও বানিয়াকাটা পশ্চিমে রামহরি ঘোনা নদীর তীরবর্তী কয়েকটি এলাকার ফসলের ক্ষেতে জোয়ারে পানি ঢুকে পড়েছে বলে সংবাদ পেয়েছি, দ্রুত পানি নামতে পারলে ফসলের ক্ষতি কম হবে। তবে পানি ক্ষেতে জমা থাকলে ক্ষতির মধ্যে পড়বে কৃষকরা। তাই কৃষকরা যাতে দ্রুত ক্ষেত থেকে জোয়ারের পানি সরিয়ে ফেলে সে পারামর্শ দেওয়া হয়।