এম.এ আজিজ রাসেল :
দক্ষভাবে রাষ্ট্র পরিচালনায় সারাবিশ্বের অনেক সম্মানজনক পদকে ভূষিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর এই কন্যা। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে। সমুদ্র জয়ের পর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে মহাকাশও জয় করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিখাঁদ দেশপ্রেম, দূরদর্শিতা, দৃঢ়চেতা মানসিকতা ও মানবিক গুণাবলী তাকে আসীন করেছে বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে। তিনিই বাঙালীর জাতীয় ঐক্যের প্রতীক এবং ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল। আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক দৈন্যতায় আকণ্ঠ নিমজ্জিত একটি জাতি ও রাষ্ট্রকি কী প্রাজ্ঞতায় এত উঁচুতে নিয়ে এসেছেন, তার সফল নেতৃত্বেই উন্নয়ন-অগ্রগতি মহাসোপানে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, অতীত ও বর্তমান তুলনাতেই তা শুধু দেশের মানুষই নয়, বিশ্ব নেতাদের কাছেও বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। তাই সারাদেশে এখন শুধু একটাই স্লোগান- ‘শেখ হাসিনার হাতে থাকলে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ।’

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে পাবলিক লাইব্রেরীর শহীদ সুভাষ হলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান।

জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। মৃত্যুভয়কে পায়ের ভৃত্য করে ক্লান্তিহীন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন দেশ মাতৃকার জন্য। সংগ্রামী জীবনে ১০ বার তাকে জেল অথবা গৃহবন্দী থাকতে হয়েছে। কিন্তু কখনও দমেননি, আপোস করেননি কোন রক্তচক্ষুর কাছে। এখন জীবনের একটাই প্রত্যয়- জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া। সে প্রত্যয় নিয়েই এগিয়ে চলছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের জেল-জুলুম নির্যাতন সহ্য করে, বার বার মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে ১৯৭১ সালে অধিকারবঞ্চিত বাঙালীদের যেভাবে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ঠিক তেমনিভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের যেখানেই মানুষ তাঁর অধিকারবঞ্চিত হন, নিষ্পেষিত হবে মানুষ আর মানবতা, সেখানেই ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা’

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, ‘নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতুর মতো জটিল ও ব্যয়বহুল প্রকল্প বাস্তবায়ন করে শুধু তার সমালোচনাকারীদের মুখই বন্ধ করেননি, বিশ্ব সম্প্রদায়কে তিনি তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তলাবিহীন ঝুড়ি আখ্যায়িত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বাংলাদেশ যে এখন একটি সক্ষম দেশ- বিশ্ব দরবারে তা প্রমাণিত হয়েছে। শেখ হাসিনা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন, নেতৃত্বে দূরদর্শিতা এবং যোগ্যতা থাকলে যে কোন কঠিন লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।’

সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক সাংসদ অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন, সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রনজিত দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক কাজী মোস্তাক আহমদ শামীম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর, জেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক সোহেল রানা ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস.এম সাদ্দাম হোসেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুছ বাঙালি, বদরুল হাসান মিলকি, বদিউল আলম, ডা. নুরুল আবছার, ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম ও আমিনুর রশীদ দুলাল।

পরে কেক কাটার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় দিনের কর্মসূচি। এর আগে সকালে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিনে তাঁর দীর্ঘায়ু কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শেষে প্রধানমন্ত্রী যাতে আগামীতে দেশ ও জাতির আরো সেবা করতে পারে এ কামনায় করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এছাড়া এতিম ও দুস্থ মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।