প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

মহান স্বাধীনতার সংগ্রাম উত্তর বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা এখনো পর্যন্ত সঠিক ভাবে প্রণয়ন হযনি। এ পর্যালোচনায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মাননীয় মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক কক্সবাজারে শুভাগমন উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতির বাস ভবনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী সভাপতিত্বে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কমরেড গিয়াস উদ্দিনের সঞ্চালনায় জেলা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন- সহ-সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, এ.কে.এম মনছুর উল হক, সহ-সাধারণ সম্পাদক মশরুর উজ জামান, মো: সুলতান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর মো: ইসলাম, সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর মো: হাশেম উদ্দিন, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক শিল্পী সনজিত ধর সঞ্জু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড: সাকী এ কাউসার গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর উজ্জ্বল কান্তি দেব, অর্থ সম্পাদক শামশুল আলম, দপ্তর সম্পাদক প্রবাল চক্রবর্তী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফাতেমা আকতার মাটিন, যুব বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আলমগীর, নির্বাহী সদস্য এড: নজরুল ইসলাম খান, সদস্য যথাক্রমে মোঃ শফিক, শিল্পী এস এম সিরাজ, মোঃ ইয়াকুব, মোঃ নুরুল আলম প্রমুখ।

সভায় বক্তরা আরো বলেন, সারা বাংলাদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ স্বাধীনতা সংগ্রামের পর অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা আজো সরকারী গ্যাজেটেট হয়নি। বরং যারা একাত্তরে খুন, রাহাজানি ও পাকিস্তানী দোসরদের সহযোগিতা করেছে তারা অনেকে বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সরকারী বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাদি গ্রহণ করেছে।

জাতীর বৃহত্তর স্বার্থে পুনরায় সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটভুক্ত করা হউক এবং ভুঁয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বাতিল করার জন্য মাননীয় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী বরাবরে জোর দাবি জানান। গত ২০১৭ সালে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়। সে যাচাই বাছাইতেও অনেক অমুক্তিযোদ্ধা ও তৎকালীন মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারীগণ যাচাই-ব্ছাাই তালিকায় নানা কৌশলে নাম অন্তর্ভূক্ত করেন। তাদেরকে পুনরায় যাচাই-বাছাই করে সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়নের মাধ্যমে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট ভুক্ত করে তাদের যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করার জন্য জোর দাবী জানান।

পরিশেষে বক্তারা আরো বলেন, কক্সবাজার এর বৈদ্যভুমি স্বীকৃত স্থানে একটি আধুনিক স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ ঐ পাক বাহিনীর টর্চার সেল নামক পুরানো রেষ্টা হাউসকে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর হিসাবে গড়ে তোলার জন্য দাবি উত্থাপন করেন।