সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু রামমোহান সেন বলেছেন, দেশপ্রেমিক ও মেধাবী জাতি গঠনে শিশুদের মেধা বিকাশের বিকল্প নেই। দেশপ্রেমিক ও মেধাবী প্রজন্ম সৃষ্ঠির জন্য কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমী দীর্ঘদিন ধরে এক অনন্য সাধারণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। এই মহতি কর্মকান্ডের জন্য তিনি কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানান এবং সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এই কর্মসূচি আয়োজনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
২৬ আগস্ট কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিত্তিক প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি-২০১৭-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর সহ-সভাপতি, কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ও একাডেমীর প্রতিভা অন্বেষণ উপ-কমিটির আহবায়ক ছড়াকার মো. নাছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মুহম্মদ নাজেম উদ্দিন।
একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক কবি রুহুর কাদের বাবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আরো বলেন, কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর শিশুদের প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচির মাধ্যমে এপ্রজন্মের শিশু-কিশোরেরা তাদের সুকুমার বৃত্তির বিকাশের সুযোগ পাচ্ছে। যা আমরা শিক্ষার্থী হিসেবে পাই নি।
তিনি ভবিষ্যতেও তার বিদ্যালয়ে উক্ত কর্মসূচিসহ সাহিত্য একাডেমীর অন্যান্য কর্মকা- অব্যাহত রাখার জন্য একাডেমীর কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান। সাথে সাথে তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এসব সৃজনশীল কর্মকা-ে অংশগ্রহণ করার জন্য আহবান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুহম্মদ নাজেম উদ্দিন বলেন, কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমী শুধুমাত্র শিশু-কিশোরদের মেধা বিকাশে একটি স্বতন্ত্র সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ করে সমগ্র বাংলাদেশে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। শিশু-কিশোরদের উচিত সাহিত্য একাডেমীর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যত আলোকিত মানুষ হিসেবে নিজেদেরকে তৈরি করা।
প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন একাডেমীর স্থায়ী পরিষদের সদস্য ও প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক কবি অধ্যাপক দিলওয়ার চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক কবি মোহাম্মদ আমিরুদ্দীন ও সদস্য আবৃত্তিকার নূর মোহাম্মদ। ট্যাবুলেশনের দায়িত্ব পালন করেন একাডেমীর নির্বাহী সদস্য নূরুল আলম হেলালী ও সমাজ গবেষক নির্বাণ পাল।
প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
প্রতিষ্ঠানের ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ‘খ’ গ্রুপ ও ৯ম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ‘গ’ গ্রুপে বিভক্ত করে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ‘খ’ গ্রুপের জন্য মো. নাছির উদ্দিনের লিখা ‘ইচ্ছা করে’ ও ‘গ’ গ্রুপের জন্য কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার ‘যতদূর বাংলাভাষা ততদূর বাংলাদেশ’ কবিতা আবৃত্তির জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
প্রতিযোগিতায় স্বরচিত ছড়া-কবিতা বিভাগে ‘খ’ গ্রুপে ৮ম শ্রেণির ছাত্র আল মামুনুর রশিদ প্রথম, ৮ম শ্রেণির ছাত্র মোহাম্মদ সামি দ্বিতীয় ও ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র শামসুল আরেফিন তৃতীয় স্থান, স্বরচিত গল্প-প্রবন্ধ গ্রুপে ৮ম শ্রেণির ছাত্র আল মামুনুর রশিদ প্রথম ও ৮ম শ্রেণির ছাত্র মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক দ্বিতীয় স্থান এবং কবিতা আবৃত্তিতে ‘খ’ গ্রুপে ৭ম শ্রেণির ছাত্র সাদনিম ইকবাল নিয়ন প্রথম, ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র খালেদ বিন রশিদ দ্বিতীয় ও ৮ম শ্রেণির ছাত্র সোহরাব হোসেইন রামীম তৃতীয় স্থান অধিকার করে।
প্রতিযোগিতায় স্বরচিত ছড়া-কবিতা বিভাগে ‘গ’ গ্রুপে ৯ম শ্রেণির ছাত্র শাহেদ বিন সুলতান প্রথম, ৯ম শ্রেণির ছাত্র অভিজিৎ বড়–য়া দ্বিতীয় ও ৯ম শ্রেণির ছাত্র ইমন দে তৃতীয় স্থান, কবিতা আবৃত্তিতে ‘গ’ গ্রুপে ১০ম শ্রেণির ছাত্র স্বপ্নীল বড়–য়া প্রথম, ৯ম শ্রেণির ছাত্র ইমন দে দ্বিতীয় ও ৯ম শ্রেণির ছাত্র সাইদুল ইসলাম তৃতীয় স্থান অধিকার করে।
পরবর্তী অনুষ্ঠান
কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমী প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি-২০১৭ আগামী ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার খুরুস্কুল উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানসমূহে একাডেমীর সংশ্লিষ্ট সকলসহ যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য একাডেমীর সভাপতি মুহম্মদ নূরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক কবি রুহুল কাদের বাবুল আহবান জানিয়েছেন।