পূর্ব পশ্চিম বিডি :
ছাত্রলীগকে ‘রক্ষণাত্মক’ ভূমিকা বাদ দিয়ে আক্রমণাত্মক ভূমিকায় যেতে বলেছেন সংগঠনের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। কোথায় কোথায় শিবির রয়েছে, তা খুঁজে বের করে তাদের প্রতিহত করতে বলেছেন তিনি।
সিলেটের জালালাবাদে ছাত্রলীগ কর্মী শাহীন আহমদ ও আবুল কালাম আসিফকে কুপিয়ে আহত করার প্রতিবাদে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকা বিক্ষোভে এ নির্দেশ দেন ছাত্রলীগ সভাপতি।
সিলেটের ঘটনায় ছাত্রলীগ ভীষণভাবে বিক্ষুব্ধ। সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে আসতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। তারা মধুর কেন্টিনের সামনে জড়ো হয়ে মিছিল বের করেন। এরপর টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে।
সোহাগ বলেন, আমাদের আর ডিফেনসিভে বসে থাকলে চলবে না, এখন থেকে এটাকিংয়ে স্টাইকারের ভূমিকায় যেতে হবে।শুধু স্লোগান দিয়ে, মিছিল করে, সমাবেশ করে শিবিরকে প্রতিহত করা যাবে না, আপনারা খুঁজুন শিবির কোথায় আছে তারপর তাদের প্রতিহত করুন। আর এই শোকের মাসে এটাই হোক আমাদের প্রতিজ্ঞা।
গত সোমবার বিকালে সিলেটের জালালাবাদের সোবহানীঘাটে ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। হামলায় মদন মোহন কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী সিলেট সদর উপজেলার পীরপুর টুকেরবাজারের শাহীন আহমদের হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার পায়েও গভীর ক্ষত তৈরি হয়। হামলায় আহত অপরজন হলেন জালালাবাদ কলেজের ছাত্র আবুল কালাম আসিফ।
এই হামলার জন্য জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরকে দায়ী করছে ছাত্রলীগ। আর এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলে শিবিরের ১২ নেতা-কর্মীকে বেদম পিটুনি দেয় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।
এর আগে সোমবার লক্ষ্মীপুরের ত্রিমোহনী এলাকায় শিবিরের দুই জন কর্মীকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয় ছাত্রলীগ কর্মীরা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও লক্ষ্মীপুরে শিবির কর্মীদের পিটুনি দেয়ায় ছাত্রলীগের স্থানীয় কর্মীদেরকে ধন্যবাদও জানান সোহাগ। বলেন, আমাদের ভাইয়েরা শিবিরকে প্রতিরোধ করে এই হামলার তৎক্ষণাৎ প্রতিশোধ নিয়েছেন।
ছাত্রলীগ সভাপতি সোহাগ বলেন, এই শোকের মাসে শোককে শক্তিতে পরিণত করে জাময়াত-শিবিরকে শক্ত হাতে দমন করতে হবে। জেলা, উপজেলায়, পাড়া-মহল্লায় ও ইউনিয়নের কোথাও জামায়াত শিবির থাকতে পারবে না। তাদের খুঁজে খুঁজে দমন করতে হবে এবং দেশ থেকে বিতাড়িত করতে হবে।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বলেন, ছাত্রলীগ সব সময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু শিবিরকে বাংলাদেশ থেকে চিরতরে নির্মূল করতে হবে।
সিলেটে ছাত্রলীগ কর্মীদের ওপর হামলাকারীদেরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারে সময় বেঁধে দিয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এর মধ্যে গ্রেপ্তারে না হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা জামায়াত-শিবিরকে সমুচিত জবাব দেবে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা জানে কীভাবে জবাব দিতে হয়।
বিক্ষোভে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স ও বিশ্ববিদ্যালয়ের হল শাখার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।