ডেস্ক নিউজ:
বরিশাল সিএমএম আদালতে দায়িত্বরত ছয় পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। গত ১৯ জুলাই বরিশালের সিএমএম আদালতে জামিনের আবেদন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী তারেক সালমন। জামিন মঞ্জুর না করে বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এসময় আদালতে দায়িত্বে থাকা পুলিশের ছয় সদস্য তারেক সালমনকে তাড়াহুড়ো করে গারদে নিয়ে যান।
পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহারের বিষয়টি শনিবার দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি) নাসির উদ্দিন মল্লিক।
তিনি জানান, প্রশাসনিক কারণে সিএমএম আদালতে দায়িত্বরত পুলিশের একজন এসআই, দু’জন এএসআই এবং তিন জন কনস্টেবলকে সেখান থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তারা হলেন, এসআই নৃপেন দাস, এএসআই শচীন ও মাহবুব এবং কনস্টেবল জাহাঙ্গীর, হানিফ ও সুজন।
উল্লেখ্য, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার সাবেক ইউএনও (বর্তমানে বরগুনার সদর উপজেলায় কর্মরত) গাজী তারিক সালমনকে বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃত করে আমন্ত্রণ পত্রে ছাপানোর অভিযোগ এনে গত ৭ জুন মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে মামলা করেন জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও বরিশাল আইনজীবী সমিতির সভাপতি ওবায়েদ উল্লাহ সাজু ।
সমন পেয়ে ১৯ জুলাই গাজী তারিক সালমন বরিশাল সিএমএম আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য ও জেলা সম্পাদকের নেতৃত্বে আওয়ামীপন্থী অর্ধশতাধিক আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। তাই জামিন যোগ্য ধারা হলেও আবেদন প্রত্যাখ্যান করে বিচারক প্রথমে গাজী তারিক সালমনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তখন আদালতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাকে তাড়াহুড়ো করে ধরে আদালতের গারদে নিয়ে যান। এ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।