গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র এম এ মান্নানের বরখাস্তের আদেশ ৩ মাসের জন্য স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে বরখাস্ত করা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। রবিবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয় বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে মান্নানের পক্ষে শুনানি করে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেন, ‘মেয়র মান্নাকে দাত্বি পালনে বাধা না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে যাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তার নিয়োগ আদেশও স্থগিত করা হয়েছে।’

এর আগে সাময়িক বরখাস্তের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র এম এ মান্নান। রবিবার সকালে আইনজীবী আবু হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আবেদনে সাময়িক বরখাস্তের আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ এবং তার দায়িত্ব পালনের ওপর স্থিতাবস্থার আবেদন করা হয়েছে।’

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে গ্রহণের পর বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) স্থানীয় সরকার বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এম এ মান্নানকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো নির্বোচনে গাজীপুর সিটি মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপির এই নেতা।

পরবর্তী সময়ে নাশকতার এক মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণের পর ২০১৫ সালের ১৯ আগস্ট অধ্যাপক মান্নানকে প্রথম বরখাস্ত করেছিল স্থানীয় সরকার বিভাগ। এর বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের ২৮ মাস পর মেয়র পদ ফিরে পান এম এ মান্নান।

কিন্তু এরপরপরই আরও একটি মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হলে ২০১৬ সালের ১৮ এপ্রিল দ্বিতীয়বারের মতো তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

ওই আদেশের বিরুদ্ধেও আইনি লড়াই করেন মান্নান। গত ১৮ জুন পুনরায় পদ ফিরে পান তিনি। কিন্তু এর কয়েকদিনের মধ্যে দুর্নীতির মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণের পর ফের তাকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।