আব্দুস সালাম,টেকনাফ :
টেকনাফে বিজিবি ঝটিকা অভিযান চালিয়ে গাঁজাসহ ৩ জন নারী মাদক কারবারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসময় এক মাদক কারবারী পালিয়ে যায়।

আটককৃত মাদক কারবারীরা হলেন,টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন এলাকার আজু মিয়ার মেয়ে
রুবায়দা (১৮), একই এলাকার মৃত দোস মাহমুদের মেয়ে ফাতেমা খাতুন (২০), টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মাঠ পাড়া এলাকার মোঃ জাফরের মেয়ে সারমিন (১৮) ও পলাতক কারবারী হলেন সেন্টমার্টিনের মোঃ আলী হোসেন।

টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমান, পিএসসি গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান,বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, শাহপরীরদ্বীপ হতে সেন্টমার্টিনগামী একটি নৌযান/ট্রলারে যাত্রীর বেশে মাদক কারবারীরা বিপুল পরিমাণ মাদক সেন্টমার্টিনে পাঠাবে। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও কারবারীদের অবৈধ কার্যক্রম নস্যাৎ করতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধিনায়ক কয়েকটি চৌকস টহলদল মোতায়েনের মাধ্যমে বিশেষ অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী শাহপরীরদ্বীপ জেটিঘাট ও আশপাশের এলাকায় একাধিক টহল মোতায়েনপূর্বক নজরদারি জোরদার করা হয়। উক্ত সময়ে জেটিঘাটের পন্টুন দিয়ে সেন্টমার্টিনে গমনকালে তিনজন নারী যাত্রীর আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় বিজিবির নারী সদস্যদের মাধ্যমে তাদের তল্লাশি করা হয়। প্রাথমিক তল্লাশিতে তাদের শরীরের সাথে কিছু লুকিয়ে রাখার বিষয়টি চিহ্নিত হলে বিস্তারিত তল্লাশির মাধ্যমে তাদের শরীরে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা মোট ৩.৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যসহ আটককৃত আসামীদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে থানায় সপর্দো করা ও মামলা দায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি আরো জানান,এই সফল মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানটি সীমান্ত সুরক্ষা ও অপরাধ দমনে বিজিবি’র কঠোর ও জিরো টলারেন্স নীতিরই প্রতিফলন। আটককৃত আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।