আজিজুর রহমান রাজু, ঈদগাঁও;
গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় বিশাল গণমিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সোমবার (৪ আগস্ট) আসরের নামাজের পর শাপলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে ডিসি সড়ক ও বাসস্টেশন ঘুরে ক্যান্ডল ৭১ রেস্টুরেন্ট চত্বরে গিয়ে সমাবেশে পরিণত হয় মিছিলটি।
‘জুলাইয়ের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’—এই স্লোগানে মুখর ছিল পুরো ঈদগাঁও। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও ইউনিট থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল এসে যোগ দেয় মূল মিছিলে। অংশগ্রহণকারীদের অনেকে মাথায় লাল-সবুজের ফিতা, হাতে দলীয় পতাকা ও জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিলে যোগ দেন। পুরো এলাকা যেন পরিণত হয়েছিল পতাকায় মোড়ানো প্রত্যয়ী জনসমুদ্রে।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন নারী-পুরুষ, তরুণ-যুবক থেকে শুরু করে বয়স্ক ব্যক্তিরাও। অনেকেই শিশু সন্তানকে কাঁধে বসিয়ে হাতে প্রতীকের ছবি ও কাঠের দাঁড়িপাল্লা বহন করেন। কেউ কেউ আবার হেলিয়াম বেলুনে প্রতীকের প্রতিচ্ছবি উড়িয়ে দেন।
গণমিছিল শেষে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াত আমির মাওলানা জলিম উল্লাহ জিহাদী। সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল আজিম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার-৩ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী শহিদুল আলম বাহাদুর বলেন, “এই রাজপথের মানুষ পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়েই দাঁড়িয়েছে। ইনশাআল্লাহ, দাঁড়িপাল্লার বিজয় এ দেশেই হবে।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ছলিম উল্লাহ বাহাদুর, ইসলামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাওলানা দেলোয়ার হোছাইন, জেলা নেতা লায়েক ইবনে ফাজেলসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা বলেন, “গণআন্দোলনের আগুন নেভানো যায় না। জনগণের রায়ই চূড়ান্ত। আমরা অতীতের ভুল শোধরাতে চাই, জনগণের পাশে থাকতে চাই।” সমাবেশজুড়ে ছিল ‘আল কোরআনের আলো সংসদে জ্বালো’, ‘দাঁড়িপাল্লা মানেই ন্যায়বিচার’, ‘গণহত্যার বিচার চাই’ ও ‘ফ্যাসিবাদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের তৎপর উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। পুরো কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়।
