নিজস্ব প্রতিবেদক:
যুবদল সভাপতির প্রভাব খাটিয়ে রামু গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা দখল করে দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, রাজনৈতিক মামলায় চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বাবুল চৌধুরী গ্রেফতারের সুযোগে পরিষদের জায়গা দখলে নিয়েছেন ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি দিদারুল আলমের বড় ভাই মোঃ শাহ আলম ও ভাতিজা মিজানুর রহমান।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি দিদারুল আলমের বক্তব্য জানতে চাইলে প্রথমে বলেন, দোকানগুলো অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করেছে। পরক্ষণে আবার তিনি বলেন, ভাই ও ভাতিজার দখলবাজির সাথে আমার সম্পর্ক নাই। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
গর্জনিয়ার বাজার এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা সিবিএনকে জানিয়েছেন, বটতলী স্টেশনে ইউনিয়ন পরিষদের একটি পরিত্যক্ত ভবন রয়েছে। যেখানে পূর্বে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো। পরবর্তীতে টাইম বাজার স্টেশনে নতুন ভবন নির্মাণপূর্বক ইউনিয়ন পরিষদের নিয়মিত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গত কয়েকদিন আগে একটি রাজনৈতিক মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বাবুল চৌধুরী গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। এই সুযোগে সরকারি জায়গা দখলে নিয়ে দোকানঘর নির্মাণ করে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দখলবাজে অভিযুক্ত মিজানুর রহমানের পিতা নবিউল আলম জামায়াতের নেতা। মোজাফফর আহমদ ও নুরুল ইসলাম নামের আরো দুই ব্যক্তি দখলবাজির সঙ্গে জড়িত রয়েছে।
গর্জনিয়া বাজারের দোকানদাররা জানিয়েছে, দখলে নেওয়া জায়গায় তড়িঘড়ি করে অস্থায়ী দোকান বসানো হয়েছে। হয়রানীর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস করছে না। এ নিয়ে স্থানীয় জনগণের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
এদিকে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা দখল নিয়ে যে কোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। অবৈধ দখল উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছে তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, সরকারি জায়গায় স্থাপনা করার কোন সুযোগ নাই। খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিজস্ব সুবিধা নিতে গিয়ে বদনাম হচ্ছে দলের। ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের সাহস-শক্তি পাচ্ছে পলাতক স্বৈরাচারের দোসরা।
