আব্দুস সালাম, টেকনাফ :

টেকনাফ সীমান্তে মাদক, অবৈধ অস্ত্র এবং চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ। তিনি বলেন, সরকার মাদকের বিরুদ্ধে একটি বড় পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যা শিগগিরই বাস্তবায়নে যাবে। একইসঙ্গে সীমান্তে যানবাহন ও জেটিঘাট থেকে চাঁদা আদায়কারীদের বিরুদ্ধেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে টেকনাফ মডেল থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ১৬ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ কাউছার সিকদার, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার সাইফউদ্দীন শাহীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আহমেদ পেয়ার, টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. গিয়াস উদ্দিন, ওসি (তদন্ত) হিমেল রায় ও ওসি (অপারেশন) কামাল হোসেন প্রমুখ।

ডিআইজি বলেন, “সীমান্ত এলাকায় মাদক প্রবণতা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। এখানকার একটি বড় জনগোষ্ঠী মাদক সংশ্লিষ্ট হয়ে পড়েছে, যা কোনোভাবেই জীবিকার মাধ্যম হতে পারে না। এ অবস্থায় সরকারের তরফ থেকে একটি বড় অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। যারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, তাদের পর্যায় নির্বিশেষে আইনের আওতায় আনা হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আগামী ৫ আগস্টের পর টেকনাফে যারা চাঁদাবাজিতে জড়িত রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর অ্যাকশন শুরু হবে। চাঁদাবাজদের কোনো ছাড় নেই। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। তবে পাহাড়ে অপহরণ ও অস্ত্রধারীদের গ্রেফতারে পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয়, সেখানে যৌথ অভিযান চালানো হবে।”

ডিআইজি আরও জানান, সম্প্রতি যেসব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে, তার মধ্যে পুলিশের অস্ত্রও রয়েছে। এর অর্থ, পুলিশ সদস্যরাও যদি কোনো অপরাধে জড়িত হয়, তাহলে তারাও আইনের আওতায় আসবে।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক)-এর পক্ষ থেকে ৩০ জন পথশিশুর মধ্যে শিক্ষা উপকরণ ও বস্ত্র বিতরণ করা হয়। এছাড়া থানা চত্বরে বৃক্ষরোপণ করেন ডিআইজি।