পেকুয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় লবণ চাষিদের উৎপাদিত প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার মণ লবণ স্থানীয় ইজারাদারদের কবলে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে চাষিদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। অতিরিক্ত খাজনা আদায় ও লবণ বিক্রিতে বাধার প্রতিবাদে ভুক্তভোগীরা উপজেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। দাবি না মানলে ফের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
পেকুয়ার রাজাখালী ইউনিয়নের এর্শাদ আলী ওয়াক্ফ এস্টেটের জমিতে বহুদিন ধরে লবণ চাষ করছেন শতাধিক কৃষক। চাষিদের দাবি, মৌসুম শুরুর আগে উপজেলা প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছিল প্রকৃত চাষিদের কাছেই ইজারা দেওয়া হবে এবং অতিরিক্ত খাজনা নেওয়া হবে না। কিন্তু সেই আশ্বাস বাস্তবায়ন হয়নি।
চাষিদের অভিযোগ, ওয়াক্ফ এস্টেটের নিয়োজিত ইজারাদাররা তাদের কাছ থেকে জোর করে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছেন এবং উৎপাদিত লবণ বিক্রিতে বাধা দিচ্ছেন। ইজারাদার জাহাঙ্গীর ও সৈয়দ নুর নামে দুই ব্যক্তি প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার মণ লবণ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ ওঠেছে।
চাষি আব্দুল হালিম বলেন, “ইউএনও স্যার বলেছিলেন খাজনা বাড়বে না, কিন্তু এখন লবণ বিক্রি করতেও দেওয়া হচ্ছে না। পরিবার নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে।”
গত ১০ জুলাই চাষিদের প্রতিনিধি দল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দেয়। এতে অতিরিক্ত খাজনা আদায়, লবণ আটকের তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
পেকুয়া উপজেলা লবণ, মৎস্য ও কৃষি কল্যাণ সমিতির আহ্বায়ক মাস্টার আবুল হাশেম বলেন, “লবণের দরপতনে চাষিরা এমনিতেই বিপদে। এখন আবার উৎপাদিত লবণ আটকে দিয়ে জীবন চালানোই কঠিন করে দেওয়া হয়েছে।”
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঈনুল হোসেন চৌধুরী বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলছে। অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
