ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদের অংশ হিসেবে আগামীকাল (সোমবার, ৭ এপ্রিল) সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে নিপীড়িত গাজাবাসী। আহ্বানে বলা হয়েছে, একযোগে বিশ্বজুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি অফিস ও আদালত বন্ধ রেখে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে।
গাজাবাসীর ডাকে সাড়া দিয়ে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ সামাজিক মাধ্যমে ‘No Work, No School Until Genocide Stops’ লেখা একটি ছবি পোস্ট করে সংহতি জানিয়েছেন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “হ্যাঁ, সংহতি জানাই। আগামীকাল ৭ এপ্রিল ইসরায়েলি দখলদারিত্ব এবং গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ধর্মঘটে যোগ দিন।”
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, শুধু প্রতিষ্ঠান বন্ধ নয়, বরং ছাত্র-জনতা সবাইকে রাজপথে নেমে গাজার পক্ষে ও ইসরায়েলি খুনিদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে স্লোগান দিতে হবে। তিনি বলেন, “৭ এপ্রিল কোনো দল বা মত নয়, বরং ‘বাংলাদেশ’ ব্যানারে সবার একত্রিত হওয়া উচিত।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি আবু সাদিক কায়েমও গাজার পক্ষে এই বৈশ্বিক কর্মসূচির অংশ হতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ হামলায় দক্ষিণের খান ইউনিসে এক সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন নিহত হন। গাজা সিটিতে নিহত হয়েছে দুই শিশু। গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০০ ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা বা আহত করছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই পরিসংখ্যান বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে।