সিবিএন ডেস্ক ;

কক্সবাজারের উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের টেকনিক্যাল কলেজ গেইট সংলগ্ন মোহাম্মদ ইলিয়াছের পুত্র মোহাম্মদ ইউসুফ। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আসামি হয়ে দীর্ঘদিন কারাবাসের পর গত বৃহস্পতিবার মুক্তি পান তিনি। চিকিৎসা শেষে রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে ফেরেন।

ইউসুফের বাড়ি ফেরার খবর শুনে এলাকার লোকজন ভিড় জমাচ্ছেন তার বাড়িতে। পরিবারের সদস্যরা তাকে ফিরে পেয়ে আনন্দিত। তবে ইউসুফের জীবনের উত্থান-পতনের ঘটনাগুলো এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

ইউসুফ ২০০৮ সালে আর্থিক সচ্ছলতার আশায় বিডিআর-এ যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু ২০০৯ সালের পিলখানা বিদ্রোহের ঘটনায় তার স্বপ্ন ভেঙে যায়। চাকরিচ্যুত হয়ে জেলে পাঠানো হয় তাকে। তার ভাই মামুন বলেন, “চাকরি পাওয়ার পর আমরা খুব খুশি হয়েছিলাম, কিন্তু এক বছরের মধ্যেই সেই খুশি ম্লান হয়ে যায়। বড় ভাই পরিবারকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করবেন, এই আশা ছিল। কিন্তু উল্টো আমাদের অনেক কষ্ট পোহাতে হয়েছে।”

ইউসুফের খালাতো ভাই নাসির বলেন, “ইউসুফের কারাবাসের সময় তার মা-বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারা এখনো পুরোপুরি সুস্থ নন।” পরিবার মনে করেছিল, হয়তো আর কখনো ইউসুফকে ফিরে পাবে না।

পিলখানা বিদ্রোহের ঘটনায় নতুন করে তদন্ত শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ডিসেম্বর আল-এম-ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে একটি কমিশন গঠন করে সরকার। ১৯ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জ কারাগারের অস্থায়ী আদালতে বিচারক ইব্রাহীম মিয়া বিস্ফোরক মামলায় ইউসুফসহ অন্যান্য আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেন।

ইউসুফের স্বজনরা দীর্ঘদিন বিনা অপরাধে কারাবাসের জন্য সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন। পরিবারের আর্থিক ক্ষতি এবং মানসিক চাপের কথা উল্লেখ করে তারা বলেছেন, এই অন্যায়ের প্রতিকার প্রয়োজন।