বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, দ্রুত নির্বাচনের কথা বললে তার সমালোচনা করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে শহীদ আসাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “দ্রুত নির্বাচনের কথা বললে আমার সমালোচনা হয়। একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেছি, যদি অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ না থাকে, তাহলে একটি নিরপেক্ষ সরকার দরকার হবে নির্বাচনকালীন সময়ে।”
তিনি ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের উদাহরণ দিয়ে বলেন, “তৎকালীন স্বৈরশাসক আইয়ুব খানকে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল। কিন্তু আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য তখন পূরণ করতে পারিনি। আজও আমরা সেই কাঙ্ক্ষিত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়তে পারিনি।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা এখনো একটি কার্যকর নির্বাচনী ব্যবস্থা তৈরি করতে পারিনি। গত ১৫ বছর ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। অবশেষে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। আশা করি, যারা প্রাণ দিয়েছে, তাদের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করতে পারব।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “মানুষ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চায়, যেখানে তারা ন্যায়বিচার, কথা বলার অধিকার এবং সন্তানদের শিক্ষার সুযোগ পাবে। আমি সবসময় বলি, দ্রুত নির্বাচন হওয়া দরকার। কারণ বিগত ১৫ বছর জনগণ নির্বাচনী অধিকার থেকে বঞ্চিত। সেই অধিকার পুনরুদ্ধারে দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের প্রসঙ্গ বিতর্কিত করা হলে জনগণ আবার তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।”